সম্প্রতি বাগেরহাটের চিতলমারী সদর বাজারের প্রবীণ কাপড় ব্যবসায়ী আনন্দ সাহার মেয়ে অর্পিতা সাহার মরদেয় একটি মৎস্য ঘের থেকে উদ্ধার করা হয়। এ মৃত্যুকে কেন্দ্র করে একটি মহল সংখ্যালঘু নির্যাতনের তকমা লাগিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ কিছু গণমাধ্যমে ক্রমাগত অপপ্রচার চালাতে থাকে। এই অপপ্রচারের কারণে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি জানতে পেরে শনিবার দুপুর ২ টায় চিতলমারী উপজেলা বিএনপি’র নব-নির্বাচিত সভাপতি মোমিনুল হক টুলু বিশ্বাস মৃত অর্পিতা সাহার পিতা আনন্দ সাহার বাড়িতে ছুটে যান। এ সময় তিনি শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেণ। এ সময় তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন চিতলমারী বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বাদল সাহা, কমলেশ সাহা, স্বপন সাহা, বিপুল শেখ, নজরুল ইসলাম তালুকদার, মানু শেখসহ বিভিন্ন পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এ সময় মৃত অর্পিতা সাহার পিতা আনন্দ সাহা জানান, তার মেয়ে অর্পিতা সাহা কিছুটা মানসিক ভারসাম্য হীন ছিল। একই সাথে ছোট কাল থেকে থেকে তার মৃগী রোগও ছিল। ঘটনার একদিন আগে অর্পিতা হাতে ব্রাশ নিয়ে স্থানীয় পরিতোষ বালার মৎস্য ঘেরে যায়। পরদিন তার মৃত দেহ ওই জলাশয় থেকে উদ্ধার করা হয়। পারিবারিক ভাবেই ওইদিন তার মৃত দেহের সৎকার করা হয়েছে।
চিতলমারী সদর বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বাদল সাহা জানান, শান্তিপূর্ণ চিতলমারীর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য একটি মহল অর্পিতার মৃত্যুকে ভিন্ন খাতে প্রচার করার চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে অর্পিতা সাহা মৃগী রোগী হওয়ায় জলে পরে সে মারা যায়।
এ ব্যপারে উপজেলা বিএনপি’র নব নির্বাচিত সভাপতি মোমিনুল হক টুলু বিশ্বাস এই অপপ্রচারে নিন্দা ও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘বহুবছর ধরেই চিতলমারীতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজ করে আসছে। হিন্দু-মুসলিম একসাথে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে বসবাস করে আসছেন। এই সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে একটি মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানা ভাবে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তা বাদী দল বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে এই সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।