বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার রহমতপুর ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শাহ্ মোহাম্মদ উল্লাহর অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করা হয়েছে। রবিবার (১০ আগস্ট) বেলা ১২ টায় মাদ্রসার মাঠে শিক্ষক-কর্মচারী, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসিরা এ মানববন্ধন করেন।
ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শাহ মোহাম্মদ উল্লাহ সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে মাদ্রাসার নামে থাকা রাজধানী ঢাকার ফ্ল্যাট, স্থানীয় প্রায় ৫ একর জমি ও মাছের ঘের দখল করে ভোগ করছেন। প্রতিষ্ঠানের কয়েক লক্ষ টাকার গাছ কেটে নিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটিতে ৪ তলা নতুন একাডেমিক ভবন থাকলেও নারী শিক্ষার্থীদের একটি জরাজীর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান করতে বাধ্য করাচ্ছেন। যেখানে মেয়েদের স্যানিটেশন ব্যবস্থা নেই। মেয়েরা যাতে ৪ তলা ভবনের ওয়াশরুম ব্যবহার করতে না পারে সে জন্য ওয়াস রুম তালাবদ্ধ করে রাখেন। তিনি ঠিকমত মাদ্রসায় আসেন না। মাদ্রসার কর্মচারীদের তিনি তার পারিবারিক কাজে ব্যবহার করে আসছেন। বছরে ২ টি ওয়াজ মাহফিল ও মৌসুমি ফসলের কালেকশনসহ মাদ্রসা ও এতিমখানার কোন আয়-ব্যয়ের হিসাব তিনি দেন না। তার এ সকল অবৈধ কাজকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তিনি বছরের পর বছর মাদ্রসা পরিচালনা পরিষদের পকেট কমিটি গঠন করে আসছেন। সর্বশেষ চলতি বছরের কমিটি নিয়েও তিনি সীমাহীন দুর্নীতি করেছেন। তাঁর এ সব অনিয়ম ও দুর্নীতি রুখতে আজ আমরা সম্মিলিত ভাবে মানববন্ধন করছি। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এতে কাজ না হলে সামনে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করব।’
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মাদ্রসার সহকারি অধ্যাপক মোঃ আবু জাফর, প্রভাষক মোঃ সোলাইমান হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মাহদী, কলাতলা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান কচি, শিক্ষার্থী অভিভাবক লিয়াকত হোসেন, শিক্ষার্থী অন্তরা আক্তার ও মাসুদ রানা।
এ ব্যাপারে জানতে রহমতপুর ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শাহ্ মোহাম্মদ উল্লাহর অফিস কক্ষে গিয়ে তাঁকে না পাওয়ায় মুঠোফোনে বারবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে রহমতপুর ফাজিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ সৈয়দ নুর মোহাম্মদ মুঠোফোনে বলেন, ‘হুজুর আজ মাদ্রাসায় আসেননি। তাঁর বিরুদ্ধে যে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সে ব্যাপারে আপনাদের সাথে সাক্ষাতে কথা বলবো।’