সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা শনিবার , ৮ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৩শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
ডুমুরিয়ায় চলতি মৌসুমে পাটের বাম্পার ফলন হলেও তীব্র দাবদাহ ও পানির অভাবে দিশেহারা কৃষক | চ্যানেল খুলনা

ডুমুরিয়ায় চলতি মৌসুমে পাটের বাম্পার ফলন হলেও তীব্র দাবদাহ ও পানির অভাবে দিশেহারা কৃষক

শেখ মাহতাব হোসেন :: ডুমুরিয়ায় এবার চলতি মৌসুমে পাটের বাম্পার ফলন হলেও তীব্র দাবদাহ ও পানির অভাবে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক। তাপপ্রবাহে জমিতেই মরে যাচ্ছে পাট। পাটের আঁশ শুকিয়ে যাচ্ছে। সময়ে চাহিদা মতো বৃষ্টিপাত না হলে পাটের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন এ জেলার কৃষকরা।
আষাঢ় পেরিয়ে শ্রাবণে পা রাখলেও উপজেলায় এবার কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি না হওয়ায় চাষিরা হতাশ। আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসে উপজেলার অধিকাংশ খাল-বিলগুলো পানিতে ভরপুর থাকত, সেখানে এখন অধিকাংশ খাল-বিল রয়েছে শুকনো। জেলার বিভিন্ন স্থানে যেটুকু বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং কোনো কোনো জলাশয়ে যেটুকু পানি রয়েছে, তা খুবই অপ্রতুল পাট পঁচানোর জন্য। এদিকে চাষিদের অনেকেই বৃষ্টির আশায় পাট কেটে জমির পাশে, কেউবা রাস্তার পাশে, খাল-বিল বা ডোবার পাশে স্তুপ করে রেখেছেন। যারা তাপপ্রবাহ থেকে পাট রক্ষা করতে কেটেছেন, তারা পানির অভাবে জমিতে খড় ও আর্বজনা দিয়ে ঢেকে রেখেছেন। এদের মধ্যে অনেকে আবার খাল- বিল বা জলাশয় এর অল্প পানিতেই পাটের উপর মাটি ও ভারী কিছু দিয়ে পাট পঁচানোর চেষ্টা করছেন।
আবার কেউ কেউ ডোবা কিংবা জলাশয়ে পাট জাগ দিয়ে পঁচানোর জন্য শ্যালো ইঞ্জিন দিয়ে পানি দিতে দেখা গেছে। আবার কেউ গাড়িতে করে পানি এলাকায় নিয়ে গিয়ে জাগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। চাষিরা শ্যালো মেশিনে সেচ দিয়ে রোপা- আমন লাগানোর জন্য পাট কেটে ফেলছেন। পানি না থাকায় রোদে এসব কাঁচা পাট নষ্ট হওয়ার উপক্রম হচ্ছে।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন জানান যে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় দেশি ও তোষা জাতের পাটের ৭৫৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে যার ফলন ১৫৫০ মে. টন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে । গত বছর পাটের ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা এ বছর পাট চাষের দিকে বেশি ঝুঁকেছেন। এরই মধ্যে এপ্রিলের শেষের দিক থেকে কয়েক দফায় বৃষ্টি হওয়ায় চাষিরা বিভিন্ন ফসল ঘরে তোলার সঙ্গে সঙ্গে জমিতে পাট বপন করেন। কিন্তু নিচু এলাকায় অল্প পানির দেখা মিললেও উঁচু অঞ্চলে রয়েছে পানির সংকট। পর্যাপ্ত বৃষ্টি হলে এ সমস্যা দূর হবে।
ডুমুরিয়া উপজেলার শোভনা গ্রামের কৃষক উত্তম কুমার দাস , একই গ্রামের হুমায়ূন কবির, উপজেলার আঙ্গাদহ গ্রামের রফিকুল ইসলাম আলামিন শেখ উপজেলার সাহস গ্রামের ঝর্ণা বেগম, মতিয়ার রহমান সরদার, উপজেলার খর্নিয়ার ভদ্রদিয়া গ্রামের রফিকুল গাজী উপজেলার মতিয়ার রহমান সহ একাধিক কৃষকের সঙ্গে কথা হয়েছে এ প্রতিবেদকের।তারা জানান, প্রথম দিকে সংকটের কারণে বেশি দামে সার কিনতে হয়েছিল তাদের। এখন পানির অভাবে পাট জাগ দিতে সমস্যা থাকায় মাঠ থেকে দূরে যেখানে পানি আছে সেখানে পাট নিয়ে জাগ দিতে হচ্ছে। এতে তাদের শ্রমিক ও পরিবহনের অতিরিক্ত খরচ গুণতে হচ্ছে। এক বিঘা জমিতে পাট চাষে খরচ প্রায় ১৬ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় গড় ফলন ১০ মণ। প্রতি মণ পাটের বর্তমান বাজার দর আড়াই হাজার থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা। এ দামে পাট বিক্রি করলে তারা খুব বেশি লাভবান হবেন না।

উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের শহিদুলসহ বেশ কয়েকজন কৃষকদের সঙ্গে কথা হয়। তারা জানান, বর্ষা মৌসুমেও গ্রীষ্মের দাবদাহ। কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি না হওয়ার মাঠের পাট মাঠেই পুড়ছে। এ অবস্থায় পাট কাটার সময় হলেও পাট জাগ দেওয়ার অসুবিধার কথা ভেবে পাট কাটতে পারছি না। অনেকে পাট কেটেও পানির অভাবে জাগ দিতে না পেরে জমিতে স্তুপ করে রেখেছেন।
অনেক কৃষক পুকুর বা ছোট জলাশয়ে সেচ দিয়ে পানির ব্যবস্থা করলেও তাদের গুণতে হচ্ছে বাড়তি খরচ। নিশ্চিত লাভ জেনেও প্রকৃতির বিরূপ আচরণে কৃষকের স্বপ্ন অধরাই থেকে যাচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় এখনও প্রচুর পাট ক্ষেতেই রয়ে গেছে।
প্রচণ্ড দাবদাহে জমিতে পাটগাছের উপরের পাতা, কাণ্ড ও গোড়া মরতে শুরু করেছে। কৃষিবিদ মোঃ মোছাদ্দেক হোসেন, অতিরিক্ত উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খুলনা জানান, ‘পাট চাষিরা তাদের জমির পাট কাটতে শুরু করেছে।
এখন বড় সমস্যা পাট পঁচানোর পানির অভাব। পানির অভাবে চাষিরা ভালভাবে পাট পঁচাতে পারছেন না। আমরা চাষিদের কম ব্যয়ে রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাট পঁচানোর পরামর্শ দিচ্ছি। এ পদ্ধতিতে পাট পঁচালে পাটের আঁশের মানও ভালো হয়।
ভালো মানের পাট উৎপাদন করতে পারলে দামও ভালো পাওয়া যাবে। এতে তারা লাভবান হবেন। প্রবাহমান পানিতে পাটের জাগ ও মাটি চাপা না দিয়ে জাগ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ডুমুরিয়া উপজেলা পাট অফিসার নিলয় মল্লিক জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায়এবার সাতশত পঞ্চান্ন হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে।

আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবার পাটের আবাদ ভালো হয়েছে ও পাটের অবস্থাও ভালো। অনাবৃষ্টি হলেও পাটের উৎপাদন ব্যাহত হবে না। তবে অতিবৃষ্টি হলে চাষিদের জন্য আরও সুবিধা হতো। আমরা কৃষি দপ্তর থেকে খবর পেয়েছি ইতি মধ্যে বৃষ্টি হলে এ সমস্যা থাকবে না।

https://channelkhulna.tv/

খুলনা আরও সংবাদ

ফ্যাসিস্টদের কেউ যেনো বিএনপি’র মধ্যে অনুপ্রবেশ করতে না পারে : আলি আসগার লবি

কুৎসা রটানোর মাধ্যমে বিরোধীরা বিএনপি’র নেতাকর্মীদের মনোবল ভাঙতে চাইছে

খুলনার বড়বাজারে নিষিদ্ধ পলিথিন উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযান

খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন

খুবিতে ল্যাবরেটরি ম্যানেজমেন্ট এন্ড সেফটি শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

তালায় স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ ৫ কেডিএ বানিজ্যিক এলাকা, আপার যশোর রোড, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।