সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা শনিবার , ২০শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ৩রা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
‘সিরাজ উদ দৌলার টার্গেট ছিল গরিব পরিবারের সুন্দরী ছাত্রী’ | চ্যানেল খুলনা

‘সিরাজ উদ দৌলার টার্গেট ছিল গরিব পরিবারের সুন্দরী ছাত্রী’

চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা মাদরাসার গরিব পরিবারের সুন্দরী এবং অপেক্ষাকৃত কম মেধাবী ছাত্রীদের টার্গেট করতেন। উপবৃত্তির টাকা ও পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন দেবেন বলে মেয়েদের কাছে টানার চেষ্টা করতেন।

বুধবার (১৭ জুলাই) সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার বাংলা বিভাগের প্রভাষক খুজিস্তা খানম তার জবানবন্দিতে এসব কথা বলেন।

ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যায় দায়ের হওয়া মামলায় এদিন আরও তিনজন সাক্ষ্য দেন। এরা হলেন, মাদরাসার আয়া বেবী রাণী দাস, নুসরাতের সহপাঠী আকলিমা আক্তার ও কায়সার মাহমুদ।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
খুজিস্তা খানম আরও বলেন, ২০০০ সালে যোগ দেওয়ার পর থেকে অধ্যক্ষ সিরাজ নিয়মিত ছাত্রীদের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতেন। আমি প্রতিবাদ করায় তিনি আমাকেও হেনস্থা করেছেন। অনেক ছাত্রী নির্যাতনের শিকার হলেও আমাদের মুখ বুঁজে থাকতে হতো। সিরাজ উদ দৌলা ছাত্রীদের তার কক্ষে ডাকলে আমরা একা যেতে নিষেধ করতাম। দলবদ্ধ হয়ে যেতে বলতাম।

তিনি বলেন, অধ্যক্ষ সিরাজ যেন সহজেই ছাত্রীদের শ্লীলতাহানী করাতে পারেন, সেই কারণে তার অফিস করেছিলেন সাইক্লোন শেলটার সেন্টারের দোতলায়। আর তার কক্ষের পাশে ছাত্রীদের শ্রেণিকক্ষ করেছেন। তিনি সব সময় ছাত্রীদের তার কক্ষে একা যেতে বলতেন।

এ মামলার ৯২ জন সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। গত ২৭ জুন সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সাক্ষ্য দেবেন মাদরাসার ছাত্রী ফাহমিদা আক্তার হামদুনা, নাসরিন সুলতানা এবং হল ইনস্পেকটর কবির আহম্মদ।

গত ২৭ জুন মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান সাক্ষ্য দেন। এরপর নুসরাতের বান্ধবী নিশাত সুলতানা, সহপাঠী নাসরিন সুলতানা, মাদরাসার পিয়ন নুরুল আমিন, নৈশ প্রহরী মো. মোস্তফা, কেরোসিন বিক্রেতা লোকমান হোসেন লিটন, বোরকার দোকানদার জসিম উদ্দিন, দোকানের কর্মচারী হেলাল উদ্দিন ফরহাদ, নুসরাতের ছোট ভাই রাশেদুল হাসান রায়হান, জহিরুল ইসলাম, হল ইনস্পেকটর বেলায়েত হোসেন, নুসরাতের মা শিরিন আখতার ও শিক্ষক আবুল খায়ের, মাদরাসা পরিচালনা কমিটি সাবেক সদস্য শেখ আবদুল হালিম মামুন, দফতরি মো. ইউসুফ, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. হোসাইন, সোনাগাজী পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ইয়াছিন, অ্যাম্বুলেন্স চালক নুরুল করিম, সোনাগাজী ফাজিল মাদরাসার পরীক্ষা কেন্দ্র সচিব মাওলানা নুরুল আফসার ফারুকী, মাদরাসার ছাত্রী তানজিনা বেগম সাথী, বিবি জাহেদা বেগম তামান্নার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়ের দায়ে চলতি বছরের ২৭ মার্চ ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর জের ধরে গত ৬ এপ্রিল মাদরাসার সাইক্লোন শেলটার সেন্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা পাঁচদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থান নুসরাতের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন।

 

https://channelkhulna.tv/

সারাদেশ আরও সংবাদ

মধ্যরাতে তালাকপ্রাপ্ত নারীর ঘরে পুলিশ সদস্য, কালেমা পড়ে বিয়ের দাবি

দুই কৃষককে নিয়ে গেল বিএসএফ, দুই ভারতীয়কে আটকে রেখেছে গ্রামবাসী

দেবর ও ভাতিজা মিলে গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ

এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে আ.লীগ নেত্রীর মেয়ে

বন্ধুকে ছাত্রলীগ বলে পুলিশে দিয়ে তার প্রেমিকাকে ছাত্রদল নেতার ধর্ষণ

ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার পর থানায় হাজির বাবা

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ ৫ কেডিএ বানিজ্যিক এলাকা, আপার যশোর রোড, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।