গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় রিয়া মণ্ডল (১৭) নামে এক কিশোরী মা তাঁর ১০ দিনের শিশুকে বাঁওড়ে ফেলে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শিশুটিকে হত্যা করে তিন নিজেও বাঁওড়ে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাতে উপজেলার বর্ণি ইউনিয়নের মধ্যপাড়া ঈদগাঁও খেয়াঘাট বাঁওড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
রিয়া মণ্ডল টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গোপালপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের তাপস মণ্ডলের স্ত্রী। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
রিয়া মণ্ডলের শ্বশুরবাড়ির লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ওসি জাহিদুল জানান, গতকাল সন্ধ্যার পর শিশুসন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের হন রিয়া। পরে ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে বর্ণি মধ্যপাড়া ঈদগাঁও খেয়াঘাট এলাকার ফাঁকা জায়গায় দাঁড়িয়ে তিনি বাঁওড়ে শিশুটিকে পানিতে ফেলে হত্যার পর নিজেও পানিতে ঝাঁপ দেন। তখন মাছ ধরতে যাওয়া কয়েক ব্যক্তি রিয়াকে পানির মধ্যে ঝাঁপাঝাঁপি করতে দেখে নৌকা নিয়ে উদ্ধার করে। পরে শিশুসন্তানকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করার কথা উদ্ধারকারীদের কাছে স্বীকার করেন রিয়া।
ওসি জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর আরও জানান, খবর পুলিশ গিয়ে বাঁওড় থেকে মৃত শিশুকে উদ্ধার করে। আর মা রিয়া মণ্ডলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় টুঙ্গিপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন। আর শিশুটির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে মা রিয়া মণ্ডল কী কারণে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন, তা এখনো জানা যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান ওসি।