গাজীপুরের শ্রীপুরে ৯ বছরের একটি ছেলেশিশুকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মো. সোহাগ (১৯) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার সোহাগ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটিকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। এমনকি তিনি স্বাভাবিকভাবে আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ জঙ্গল থেকে খুঁজে বের করে দেন।
আজ রোববার বিকেলে গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরাজুল ইসলাম শ্রীপুর থানায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। গ্রেপ্তার তরুণকে পুলিশ আদালতে হাজির করেছে।
এর আগে গতকাল শনিবার রাতে নিখোঁজের ৯ ঘণ্টা পর গভীর জঙ্গল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ওই রাতেই সন্দেহভাজন হিসেবে সোহাগকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিহত শিশু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক জানান, গতকাল রাতে গভীর জঙ্গল থেকে একটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে তার স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে সোহাগকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আব্দুল বারিক আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত সোহাগ শিশুটিকে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। শিশুটি তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা মা-বাবাকে বলে দেবে জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ জঙ্গলে ফেলে আসেন। গ্রেপ্তার তরুণ প্রাথমিকভাবে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।