বিয়ের মাত্র ৪৫ দিনের মাথায় স্বামীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে এক নববধূর বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই নারীর সঙ্গে তাঁর নিজের চাচার সম্পর্ক ছিল, যার জেরে এই খুন। ভারতের বিহারের আওরঙ্গাবাদ জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বিহারের কন্যা ২০ বছর বয়সী গুঞ্জা দেবীর সঙ্গে তাঁর চাচা জীবন সিংহের (৫৫) সম্পর্ক ছিল। তাঁরা বিয়ে করতে চেয়েছিলেন কিন্তু তাঁদের পরিবার রাজি ছিল না। ঘটনার ২ মাস আগে গুঞ্জাকে নবীনগর থানার বরওয়ান গ্রামের বাসিন্দা প্রিয়াংশুর সঙ্গে বিয়ে দেয় তাঁর পরিবার।
পুলিশের তদন্তে উঠে আসে, বিয়ের পরও চাচা জীবন সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন গুঞ্জা দেবী। তাঁরা দুজনে পরিকল্পনা করে ভাড়াটে খুনি দিয়ে গুঞ্জার স্বামী প্রিয়াংশুকে হত্যা করেন।
প্রমাণ পাওয়ার পর গুঞ্জা ও দুই ভাড়াটে খুনিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে চাচা জীবন সিংহ এখনো পলাতক রয়েছে।
আওরঙ্গাবাদের পুলিশ সুপার (এসপি) অমরীশ রাহুল জানান, গত ২৫ জুন প্রিয়াংশু ট্রেনে করে বোনের বাড়ি থেকে ফিরছিলেন। নবীনগর স্টেশনে পৌঁছে তিনি স্ত্রী গুঞ্জাকে ফোন করে কাউকে মোটরসাইকেল নিয়ে তাঁকে নিতে পাঠাতে বলেন।
এরপরই খুনের ঘটনা ঘটে বলে ধারণা করছে পুলিশ। এসপি রাহুল বলেন, ‘স্টেশন থেকে বাড়ির পথে যাওয়ার সময়ই তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়।’
পুলিশ তদন্ত শুরু করলে গুঞ্জা গ্রাম ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এতে প্রিয়াংশুর পরিবারের সন্দেহ হয়। পুলিশ জানায়, গুঞ্জার ফোনকল রেকর্ড থেকে দেখা যায় তাঁর চাচা জীবন সিংহের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিলেন। জীবন সিংহের কল রেকর্ডে ভাড়াটে খুনিদের সঙ্গে যোগাযোগের প্রমাণ মেলে।
পুলিশ সুপার রাহুল আরও বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও একজনকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।’
নববিবাহিত স্ত্রীর হাতে খুনের ঘটনা ভারতে নতুন নয়। গত মে মাসে মেঘালয়ে হানিমুন করতে গিয়ে খুন হন রাজা রঘুবংশী নামে এক ব্যক্তি। পুলিশের তদন্তে উঠে আসে, তাঁর নববিবাহিতা স্ত্রী সোনম ও সোনমের প্রেমিক রাজ কুশওয়া মিলে রাজাকে হত্যা করেন। ওই হত্যাকাণ্ডে আরও তিনজনের সাহায্য নিয়েছিলেন সোনম। এরই মধ্যে এই মামলার সব অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।