ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সভাপতি ও খুলনা ২ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ্ব মুফতী আমানুল্লাহ শুক্রবার, বিকাল ৪টায় খুলনা নিউমার্কেট বাইতুন নুর চত্বরে জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, গণহত্যার বিচার ও ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দল কে বিচারের আওতায় আনা, এবং বিচারকালীন তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে বিক্ষোভ মিছিল পূর্বক সমাবেশে বলেছেন, জুলাইয়ের প্রত্যাশা পূরণে প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ আশানুরূপ হয় নাই। সংস্কার যেসব প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে তার আইনীভিত্তি নিশ্চিত করা যায় নাই। আবার মৌলিক সংস্কারের অনেকগুলোতে নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে বাতিলযোগ্য করে রাখা হয়েছে। এমন বাস্তবতায় পিআ পদ্ধতি-ই জুলাই এর প্রত্যাশা পূরণে একমাত্র উপায়। তাই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আদায়ের জন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শেষ দিন পর্যন্ত লড়াই করে যাবে; ইনশাআল্লাহ।
গণসমাবেশ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সভাপতি ও খুলনা ২ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ্ব মুফতী আমানুল্লাহ এর সভাপতিত্বে ও নগর সেক্রেটারী আলহাজ্ব মুফতী ইমরান হুসাইন এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে খুলনা মহানগর সভাপতি আলহাজ্ব মুফতী আমানুল্লাহ আরও বলেন, যে অশুভ রাজনীতির কারণে হাজার হাজার ছাত্র জনতার জীবন দিতে হলো সেই পুরোনো রাজনীতি যাতে আর কোনদিন ফেরত না আসে তা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সব রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাইলেও বিএনপির বিরোধিতা আমাদের ভাবিয়ে তুলছে। স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করতে চাই পিআর পদ্ধতিতেই আগামি নির্বাচন দিতে হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা ক্ষমতায় যাননি। আপনাদেরকে ক্ষমতায় পাঠানো হয়েছে। দেশের ১৮ কোটি মানুষ আপনাদের পাশে থাকলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আপনারা বার বার ব্যর্থতার প্রমাণ দিয়েছেন। কঠোর হস্তে চাঁদাবাজ দমন করুন। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ও প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া নির্বাচন দেশের জনগণ বরদাশত করবে না।
৫ দফা দাবি আদায়ের সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন খুলনা মহানগর সহ-সভাপতি শেখ মোঃ নাসির উদ্দীন, আলহাজ্ব আবু তাহের, হাফেজ আব্দুল লতিফ, জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওঃ দ্বীন ইসলাম, এসিস্টেন্ট সেক্রেটারী মোঃ ইমরান হোসেন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ সাইফুল ইসলাম ভূইয়া, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ তরিকুল ইসলাম কাবির, দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান সৈকত, অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবির, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতী ইসহাক ফরীদি, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক গাজী ফেরদাউস সুমন, শিক্ষা ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মঈন উদ্দিন ভূইয়া, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডঃ কামাল হোসেন, কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রবিউল ইসলাম তুষার, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক কারী মোঃ জামাল উদ্দিন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওঃ নাসিম উদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযুদ্ধা জিএম কিবরিয়া, সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক বন্দ সরোয়ার হোসেন, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ বাদশা খান , স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মারুফ হোসেন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম খালিদ সাইফুল্লাহ, সহ প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মুফতী আমানুল্লাহ, সহ দপ্তর সম্পাদক এইচ এম আরিফুর রহমান, সহ অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক গাজী মিজানুর রহমান, সহ প্রশিক্ষণ সম্পাদক মোঃ মঈন উদ্দিন, সদস্য আলহাজ্ব আব্দুস সালাম,আলহাজ্ব আমজাদ হোসেন, আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলাম টুটুল মোড়ল, মোঃ শহিদুল ইসলাম সজিব, মোঃ কবির হোসেন হাওলাদার, আবুল কাশেম, মোঃ বাদশাহ খান, মোঃ মিরাজ মহাজন, যুব নেতা মোঃ আব্দুর রশিদ, ছাত্র নেতা মোঃ মাহদী হাসান মুন্না প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে প্রদক্ষিণ করে।