বিরামহীন বৃষ্টিতে খুলনা-পাইকগাছা প্রধান সড়কের তালা উপ-শহরের জেলেপাড়া এলাকায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচল প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। সোমবার (১৪ জুলাই) সকাল থেকে ভারি বর্ষণের ফলে সড়কের অবস্থার আরও অবনতি ঘটেছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন স্থানীয় মানুষ ও যাত্রীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, তালা উপ-শহরের জেলেপাড়া থেকে তালা ব্রিজ মোড় পর্যন্ত সড়কটি ঠিকাদার কর্তৃক খুঁড়ে ফেলে রাখা এবং টানা বৃষ্টির কারণে করুণ দশায় পড়েছে। খুলনা থেকে আঠারোমাইল হয়ে পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলায় যাতায়াতের একমাত্র প্রবেশপথ এই সড়ক। কিন্তু সড়কের উক্ত অংশে যানবাহন আটকে যাচ্ছে গর্তে পড়ে। বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে বারবার ছোট-বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এমনকি পথচারীরাও পায়ে হেঁটে পার হতে পারছেন না।
খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি অমরেশ কুমার মন্ডল বলেন, আঠারোমাইল থেকে তালা সদর হয়ে পাইকগাছা পর্যন্ত ছয়টি স্থানে সড়কের খুবই খারাপ অবস্থা। তালা থানা-ব্রিজ মোড়, কপিলমুনি ফকিরবাসা মোড়, গোলাবাটি মোড়, মুচির পুকুরের মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে সমস্যা ভয়াবহ। আমরা মালিক সমিতির পক্ষ থেকে কিছু জায়গায় ইট-বালু ফেলে মেরামতের চেষ্টা করছি।
সৈয়দ বাচ্চু নামের এক পথচারী বলেন, ঠিকাদার এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতার কারণে আমাদের চরম মাশুল দিতে হচ্ছে।
বাস, ট্রাক, পিকআপ, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল চালকরাও ঠিকাদার ও কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, খুলনা-পাইকগাছা রুটে প্রতি ১২ মিনিট পরপর একটি করে গাড়ি চলাচল করে। দিনে প্রায় ১২০টি গাড়ি ও ৭০টি ঢাকা রুটের পরিবহন এ সড়ক ব্যবহার করে। সড়কের দুরাবস্থার কারণে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।
তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপা রানী সরকার বলেন,সড়কের বিষয়টি নিয়ে খুলনা বিভাগীয় প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি দ্রুত সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন।
খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তানিমুল হক জানান, ভেঙে যাওয়া সড়কের মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। খুব শিগগিরই সড়কটি চলাচলের উপযোগী হবে।