খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনা ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের নেতৃবৃন্দ। রোববার এক যৌথ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এ আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান।
বিবৃতিদাতারা হলেন, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার সভাপতি মো. আনিসুজ্জামান, সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের সহকারী মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান হিমালয়, কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক রানা, নির্বাহী সদস্য মুহাম্মদ নূরুজ্জামান ও সোহরাব হোসেন। অনুরূপ বিবৃতি দিয়েছেন বিএফইউজের সাবেক সহ-সভাপতি ড. মো. জাকির হোসেন, আবু তৈয়ব ও মো. রাশিদুল ইসলাম, সাবেক নির্বাহী সদস্য শেখ দিদারুল আলম ও এইচ এম আলাউদ্দিন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, হাসপাতালের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষার কথা বলে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী। সাংবাদিকরা সবসময় পেশাগত নীতিমালা ও মানবিক মর্যাদা রক্ষা করে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। হাসপাতালের কর্মকান্ড স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক রাখতেই গণমাধ্যমের উপস্থিতি অপরিহার্য। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী সাংবাদিকরা সব সময় জনস্বার্থে ভিডিও ধারণ ও প্রকাশের স্বাধীনতা ভোগ করে থাকেন। যদি কোনো ব্যক্তি সাংবাদিকতার নীতিমালা লঙ্ঘন করেন কিংবা অপসাংবাদিকতায় লিপ্ত হন, তবে সেই ব্যক্তি বা ঘটনার বিরুদ্ধে নির্দিষ্টভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু পুরো পেশাজীবী সম্প্রদায়কে একক আদেশে হাসপাতালে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার শামিল।
উল্লেখ্য, খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. কাজী মো. আইনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত খুমেকহা/শা-প্রশা/২০২৫ স্মারকের এক অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, পরিচালকের অনুমতি ছাড়া কিছু মিডিয়াকর্মী হাসপাতালের ভেতরে রোগীদের ছবি তুলছেন, যা কাম্য নয়। এতে রোগী এবং চিকিৎসক উভয়ই হয়রানির শিকার হচ্ছেন। হাসপাতালে রোগীদের স্বাভাবিক চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। আরও উল্লেখ করা হয়, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৫০০ শয্যার জায়গায় দৈনিক ২ হাজার রোগী চিকিৎসাসেবা নেয়। এখানে সাংবাদিকদের আনাগোনায় স্বাভাবিক চিকিৎসাসেবা ব্যাহত ও কালক্ষেপণ হচ্ছে। এমতাবস্থায় পরবর্তীতে কোনো মিডিয়া ব্যক্তি পরিচালকের লিখিত অনুমতি ছাড়া হাসপাতালের ইনডোর বা আউটডোরে ছবি তোলা বা কারোর সাক্ষাৎকার নিতে পারবেন না।