সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা বুধবার , ৯ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
অবশেষে মুক্তি পেলেন শাহাজাদী, স্বামী খোঁজ না নেওয়ায় হতাশা | চ্যানেল খুলনা

অবশেষে মুক্তি পেলেন শাহাজাদী, স্বামী খোঁজ না নেওয়ায় হতাশা

১৩ দিনের নবজাতককে নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন শাহাজাদী ও তাঁর মা নার্গিস বেগমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শরীফ হোসেন হায়দার তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন। দুপুরের দিকে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী শেখ রফিকুজ্জামান বলেন, সকালে আদালতের আদেশের অনুলিপি তুলে খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করা হলে আদালত বিশেষ বিবেচনা ও বিনা জামানতে তাঁদের জামিন দেন।

খুলনা কারাগারের জেলার মোহাম্মাদ মুনীর হোসাইন জানান, জামিনের কপি আসার পর বেলা পৌনে ২টায় শাহাজাদীর মা নার্গিস বেগমকে কারাগার থেকে মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বেলা ৩টায় খুমেক হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন শাহাজাদীকে মুক্ত করে দেওয়া হয়।

এদিকে জামিনে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন শাহাজাদী। তবে তাঁর স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির লোকজন কোনো খোঁজ না নেওয়ায় তিনি হতাশা প্রকাশ করেন।

এর আগে ক্লিনিক থেকে নবজাতক চুরির ঘটনায় গত রোববার শাহাজাদীকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শাহীন কবির। কিন্তু আদালতে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকায় জামিনের শুনানি হয়নি। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ওই দিন কারাগারে নবজাতক সন্তানকে নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন শাহাজাদী। রাতেই চিকিৎসকদের পরামর্শে খুমেক হাসপাতালের প্রিজন সেলে পাঠায় কারা কর্তৃপক্ষ। সেখানে পৃথক কেবিনে রেখে তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হয়।

গতকাল সোমবার খুলনার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে তাঁদের জামিন আবেদন করা হয়। আদালতের বিচারক মো. আনিসুর রহমান জামিন নামঞ্জুর করেন।

হাসপাতাল, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১১ সেপ্টেম্বর নগরীর রূপসার একটি ক্লিনিকে সিরাজুল ইসলাম ও শাহাজাদী দম্পতির কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে কন্যাশিশু। এর আগে পরপর আরও চার কন্যার জন্ম দেন শাহাজাদী। এবার অন্তত ছেলে হবে—এমন প্রত্যাশা ছিল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের। ছেলে না হওয়ায় স্ত্রীকে হাসপাতালে রেখে চলে যান সিরাজুল। আর খবর নেননি। পরিবারের চাপ ও হতাশার মধ্যে ১৫ সেপ্টেম্বর ঘটে দুর্ঘটনা।

ওই দিন একই হাসপাতাল থেকে আরেক প্রসূতির চার দিন বয়সী ছেলে নবজাতক চুরি হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ও পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধারও করা হয়। শাহাজাদীর মা নার্গিস বেগমের (৫৫) কাছ থেকে চুরি হওয়া নবজাতককে উদ্ধার করা হয়। তখন তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন তিনি পুলিশের কাছে দাবি করেন, মেয়ের সংসার টিকিয়ে রাখতে শিশুটিকে তিনি চুরি করেছিলেন।

https://channelkhulna.tv/

খুলনা আরও সংবাদ

কুয়েটে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত

দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ৭৪টি মণ্ডপে কেসিসির অনুদানের চেক বিতরণ

খুলনায় গণপিটুনিতে নিহতের ঘটনায় গ্রেফতার ৩

অবশেষে মুক্তি পেলেন শাহাজাদী, স্বামী খোঁজ না নেওয়ায় হতাশা

বাস্তুহারায় উচ্ছেদ অভিযানে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

সুন্দরবন দেখতে যাওয়া বিদেশি পর্যটক মারা গেলেন জাহাজেই

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ ৫ কেডিএ বানিজ্যিক এলাকা, আপার যশোর রোড, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।