জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, গণহত্যার বিচার ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচারের আওতায় আনা, এবং বিচারকালীন তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪ টায় নগরীর নিউমার্কেট বাইতুন নুর চত্বরে আয়োজিত মিছিল পূর্ব সমাবেশ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সভাপতি ও খুলনা ২ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ্ব মুফতী আমানুল্লাহ এর সভাপতিত্বে ও নগর সেক্রেটারী আলহাজ্ব মুফতী ইমরান হুসাইন এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
মুফতী আমানুল্লাহ সভাপতির বক্তব্যে বলেন জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে, এতো রক্তক্ষয়ী একটি গৌরবময় গণঅভ্যুত্থানের পরে জুলাই সনদের আইনী ভিত্তি নিশ্চিত করা, হত্যাকারীর বিচার করা এবং ফ্যাসিবাদের দোসরদের উৎপাত বন্ধ করার মতো গণদাবী নিয়ে রাজপথে আন্দোলন করা লাগবে তা চিন্তাও করি নাই।
তিনি বলেন, পিআর নিয়ে আমরা বহু বছর ধরে আন্দোলন করে আসছি। কথা বলেছি। দেশের অধিকাংশ মানুষ পিআর চায় মর্মে একাধিক জরিপে উঠে এসেছে।
এখন পিআর নিয়ে আমরা রাজপথে আন্দোলন করতে চাই না। বিএনপি যদি জনতার ওপরে আস্থা রাখতে পারে তাহলে পিআর এ তাদের সমস্যা কি? তারা ৯০% ভোট পেয়ে ২৭০ আসন নিয়ে এককভাবে দেশে পরিচালনা করুক; আমাদের তো সমস্যা নাই। বিএনপি জনতার ওপরে আস্থা রাখতে পারছে না কেন?
আপনারা পিআর প্রশ্নে গণভোট দেন। জনতা যদি পিআরের পক্ষে মত না দেয় তাহলে আমরাও আর দাবী করবো না।
মুফতী আমানুল্লাহ বলেন, আমাদের দাবী স্পষ্ট। সংস্কার করতে হবে, জুলাই সনদের আইনী ভিত্তি দিতে হবে, বিচার দৃশ্যমান হতে হবে এবং পিআরে নির্বাচন হতে হবে। এটা জনতার দাবী। কেন আপনারা এই দাবী মানছেন না? সমস্যা কোথায়? নাকি ভারত চায় না বলে জুলাইয়ের আইনী স্বীকৃতি দিতে ও বিচার করতে গড়িমসি করছেন? সংস্কার ও বিচারের আগেই যদি নির্বাচন র্নিবাচন করেন তাহলে আমরা ধরে নেবো সরকার কোন দল বিশেষের প্রতি ঝুঁকে পড়েছেন।
বিশেষ অতিথি জেলা সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ্ ইমরান মাধ্যমিকে গানের শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে বলেন, প্রাইমারি স্কুলের পড়াশোনার মান খুবই খারাপ। সেখানে ভাষা, বিজ্ঞান, গনিত ও তথ্য-প্রযুক্তির শিক্ষক নিয়োগ না করে গানের শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার বিষয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
নগর সভাপতি আলহাজ্ব মুফতী আমানুল্লাহ আরও বলেন, ঐক্যমত কমিশনে আমরা বিগত ৫ মাস ৫ দিন ধরে নানাভাবে চেষ্টা করেও যখন নিম্নকক্ষে পিআরের বিষয়টা আলোচনায় আনতে ব্যর্থ হয়েছি; তখনই আমরা রাজপথে এসেছি। ঐক্যমত কমিশন বলে, ওপরের নির্দেশে পি আর কে তারা এজেন্ডাভুক্ত করতে পারছে না। আমরা জানতে চাই, কারা সেই ওপরে থাকা শক্তি?
তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান কেবল নির্বাচনের জন্য না। রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কারই ছিলো মুল লক্ষ্য। সেই সংস্কার এই আমলেই করতে হবে। নির্বাচনের পরে সংস্কার করার যে কথা বলা হচ্ছে তার ওপরে আস্থা রাখা যায় না। ৫ আগষ্টের পরে সামান্য সুযোগ পেয়েই সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজীর যে দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে তাতে নির্বাচনের পরে সংস্কারের চিন্তাও করা যায় না।
গণসমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল্লাহ ইমরান, নগর সিনিয়র সহ সভাপতি শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবু তাহের, হাফেজ আব্দুল লতিফ, মাওলানা আবু সাঈদ, জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওঃ দ্বীন ইসলাম, এসিস্টেন্ট সেক্রেটারী মোঃ ইমরান হোসেন মিয়া, মোঃ শফিকুল ইসলাম, মাওলানা হারুন-রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ সাইফুল ইসলাম ভূইয়া, শেখ মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ তরিকুল ইসলাম কাবির, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ইস্কান্দার, দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান সৈকত, আবু দাউদ শেখ, অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবির, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতী ইসহাক ফরীদি, আলহাজ্ব আশরাফুল ইসলাম বিশ্বাস, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক গাজী ফেরদাউস সুমন, শিক্ষা ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মঈন উদ্দিন ভূইয়া, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডঃ কামাল হোসেন, শেখ মোহাম্মদ ইউনুস আলী, কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রবিউল ইসলাম তুষার, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক কারী মোঃ জামাল উদ্দিন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওঃ নাসিম উদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযুদ্ধা জিএম কিবরিয়া, সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক বন্দ সরোয়ার হোসেন, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ বাদশা খান , স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মারুফ হোসেন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম খালিদ সাইফুল্লাহ, সহ প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মুফতী আমানুল্লাহ, সহ দপ্তর সম্পাদক এইচ এম আরিফুর রহমান, সহ অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক গাজী মিজানুর রহমান, সহ প্রশিক্ষণ সম্পাদক মোঃ মঈন উদ্দিন, সদস্য আলহাজ্ব আব্দুস সালাম,আলহাজ্ব আমজাদ হোসেন, আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলাম টুটুল মোড়ল, মোঃ শহিদুল ইসলাম সজিব, মোঃ কবির হোসেন হাওলাদার, আবুল কাশেম, মোঃ বাদশাহ খান, মোঃ মিরাজ মহাজন, মোহাম্মদ রাসেল মোল্লা, মোঃ অলিয়ার রহমান, মুফতি ওমর ফারুক, শিক্ষক নেতা জি এম এমদাদুল্লাহ, নিজাম উদ্দিন মল্লিক, শ্রমিক নেতা এস এম আবুল কালাম আজাদ, পলাশ শিকদার, যুব নেতা মোঃ আব্দুর রশিদ, মোঃ ফুজলুল হক ফাহাদ, এসকে নাজমুল ইসলাম, বন্দ আমজাদ হোসেন, আব্দুস সবুর, মমিনুল ইসলাম নাসিব, ছাত্র নেতা মোঃ মাহদী হাসান মুন্না, হাসিবুর রহমান শাকিল, মোঃ হাবিবুল্লাহ, শরিফুল ইসলাম, হাবিবুল্লাহ মেসবাহ প্রমূখ।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে নিউ মার্কেট থেকে শিববাড়ি মোড় হয়ে ময়লাপোতায় শেষ হয়।