ইসলামী ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান নাবা অ্যাগ্রো ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের নামে ৩৬৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মো. সাইফুল আলম ও নাবিল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যানসহ আরও ৪১ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সোনালী ট্রেডার্সের পরিচালক শহিদুল আলম, সেঞ্চুরি ফ্লাওয়ার মিলসের এমডি আরিফুল ইসলাম চৌধুরী ও পরিচালক হাছানুজ্জামান, নাবা অ্যাগ্রো ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের এমডি মামুন অর রশিদ ও চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ।
এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের সাবেক ও বর্তমান একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা আসামির তালিকায় রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. নাজমুল হাসান, নির্বাহী কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. সেলিম উদ্দিন, সাবেক এমডি মোহাম্মদ মুনিরুল হকসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার আরও কর্মকর্তা।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তারা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঋণ অনুমোদন, জালিয়াতি ও ভুয়া রেকর্ডপত্র তৈরির মাধ্যমে অনিয়মে জড়িত হন। নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান নাবা অ্যাগ্রো ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের অনুকূলে ৬৭০ কোটি টাকার ঋণ সুবিধা অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৩৬৩ কোটি টাকা দেখানো হয় বিতরণকৃত হিসেবে, যা আত্মসাৎ করা হয়।
দুদক জানিয়েছে, আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর বিভিন্ন ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৫(৩) ধারা অনুযায়ী মামলা করা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অর্ধ-ডজনের বেশি মামলা করেছে দুদক। একইভাবে নাবিল গ্রুপের এমডি আমিনুল ইসলাম ও ইসলামী ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলার তদন্ত চলছে।