ডুমুরিয়ার জিয়েলতলা মহামায়া আশ্রমের ধর্মগুরু নারায়ণ চন্দ্র রায় (৬০)- কে থানা পুলিশ বুধবার ভোরে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, ডুমুরিয়া উপজেলার শোভনা ইউনিয়েনের জিয়েলতলা গ্রামে ‘মা কালী’র সাধক নারায়ণ চন্দ্র রায় ওরফে নারায়ণ গোষ্মামী ওরফে নারায়ণ গোষাই ‘জিয়েলতলা মহামায়া আশ্রম’ পরিচালনা করে থাকেন। তিনি প্রতি মঙ্গলবার রাতে তার ধামে আসর চলাকালে কোনো এক সময়, ‘অন্ধ মানুষ দেখতে পাচ্ছে, ল্যাংড়া(খোড়া) মানুষ হাটতে শুরু করেছে’ এমন অতি-লৌকিক ঘটনা দেখার কথা প্রচার করে থাকেন। তার ওইসব ক্ষমতার কথা শুনে-শুনে খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর-সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গাড়ী ভরে ডাঙ্কা(বড়-ঢোল) বাজিয়ে সরল-ধর্মপ্রাণ সনাতন ধর্মাবলম্বী ছাড়াও অন্যান্য ধর্মের লোকেরাও সেখানে সমবেত হন। এবং অতি-লৌকিক ক্ষমতা বিশ্বাস করে ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষ তাকে দেবতার আসনে বসিয়েছে। কিন্তু তার ধর্মগুরু’র পরিচয়ের বাইরে স্বর্ণ-ব্যবসা, চোরাচালান, অন্যের জমি-দখল, নারী সঙ্গ’র অভিযোগও শোনা যায়। পাশাপাশি তিনি গাড়ি-বাড়ি-সহ অনেক সম্পত্তির মালিকও হয়েছেন।
কথিত ধর্মগুরু নারায়ণ গোষ্মামী গত ১৭ এপ্রিল-২০২৫ তারিখে উপজেলার কদমতলা গ্রামে দরিদ্র কৃষক পরিতোষ মন্ডলের বাড়িতে রাত্রি-যাপন করেন। ওই রাতে পরিতোষ ও তার স্ত্রী পার্শবর্তী চিংড়ি ঘেরের বাসায় অবস্থান করা-কালে ফাঁকা বাড়িতে পরিতোষের ৮ম শ্রেণি পড়–য়া মেয়ে-কে গোষ্মামী ওরফে গোষাই ধর্ষণের চেষ্টা করেন বলে বাদি লিখিত অভিযোগ করেছেন। ওই মামলায় গতকাল বুধবার ভোরে ডুমুরিয়া থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। উল্লেখ্য তিনি একটি রাজনৈতিক দলের অমুসলিম শাখার ডুমুরিয়া উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি। তবে থানা হাজতে থানা নারায়ণ রায় ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের স্বীকার।
এ প্রসঙ্গে ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বলেন, ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে নারায়ণ রায়-কে বুধবার ভোরে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।