আজ ২২ আগস্ট, খুলনার দুই প্রবীণ সাংবাদিক কাজী আমানুল্লাহ ও ওয়াদুদুর রহমান পান্নার মৃত্যুবার্ষিকী। ’৬০-এর দশকে এই দুই সাংবাদিক খুলনাতে সাংবাদিককতা শুরু করেন।
কাজী আমানুলাহ জাতীয় পর্যায়ে দীর্ঘদিন দ্যা ডেইলি স্টার, সংবাদ সংস্থা ইউএনবি, দ্যা নিউ এজ পত্রিকার খুলনার প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া তিনি খুলনা থেকে প্রকাশিত দ্যা ডেইলি ট্রিবিউনের শুরু থেকেই বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত স্বপদে ছিলেন। তিনি ২০১৬ সালে ২২ আগস্ট হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন। তিনি খুলনা জেলা পাইকগাছা উপজেলার সম্ভ্রান্ত কাজী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার দাদা ছিলেন উপমহাদেশের সুসাহিত্যক কাজী ইমদাদুল হক। তার বড় চাচা কাজী আনোয়ারুল হক ছিলেন পাকিস্তান সরকার আমলের প্রথম সিএসপি বাঙালি অফিসার। পরবর্তীতে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিপরিষদে অর্থ উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন।
অপর দিকে ’৬০-এর দশকে আরেক সাংবাদিক ছিলেন ওয়াদুদুর রহমান পান্না। তিনি শুধুমাত্র সাংবাদিকতার জন্য ১৯৭৫ সালে তৎকালীন সরকারের বাকশাল কায়েম করার পর পুনর্বাসন হিসেবে কাস্টমস-এ চাকুরি পেলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। পরবর্তীতে তিনি খুলনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক জন্মভূমির চীফ রিপোর্টার, বার্তা সম্পাদক এবং সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি ছিলেন একজন শিক্ষানুরাগী। খুলনা নগরীর অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জোহরা খাতুন বিদ্যা নিকেতনের পরিচালক ছিলেন। ২০২০ সালের ২২ আগস্ট তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।