পুকুরে গোসল করতে নেমে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তনু কর্মকার নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ মে) বিকেলে কুয়েট ক্যাম্পাসের পুকুরে গোসল করতে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। মৃৃত শিক্ষার্থী শান্তনু ঢাকার রাজার দেওড়ি এলাকার বাসিন্দা সুকুমার চন্দ্র কর্মকারের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) আবুল বাসার মোহাম্মাদ আতিকুর রহমান।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিকেল ৩টা ২০ মিনিটের দিকে কুয়েটের খান জাহান আলী হল সংলগ্ন পুকুরে বন্ধুদের সঙ্গে গোসল করতে নামার পর নিখোঁজ হন তিনি। কুয়েটের শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা তৎক্ষণাৎ তাকে উদ্ধারের প্রচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। এর ৩০ মিনিট পর খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে ও ৫ মিনিট ধরে অভিযান চালানোর পর শান্তনুর অচেতন দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার বলেন, পুকুরে ডুবে যাওয়া শিক্ষার্থীকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে উদ্ধার করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ কবির হোসেন বলেন, দুপুর ৩ টার দিকে কুয়েট শিক্ষার্থী শান্তনু গোসল করতে কুয়েটের পুকুরে নামে। ফেরত আসাতে দেরি দেখে সহপাঠিরা পুকুরের চারপাশে খোঁজ নিতে থাকে। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের খবর দেওয়া হলে তারা পৌঁণে ৪ টার দিকে তাকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে তার মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।