
খুলনায় আদালত চত্বরের প্রধান ফটকের সামনের সড়কে শীর্ষ সন্ত্রাসী হাসিব হাওলাদার ও ফজলে রাব্বি রাজন হত্যায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ বিলুপ্ত হওয়া ‘ইহুদি’ বাহিনীর সদস্য রিপন নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। এখনো জোড়া হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের না হওয়ায় তাঁকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
খুলনা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হাই বলেন, গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর নতুন বাজার চর স্কুল গলি থেকে রিপনকে আটক করা হয়। রিপন রূপসা মাছ গলির জলিলের ছেলে।
এসআই বলেন, যেহেতু এখনো হত্যা মামলা দায়ের হয়নি, সে কারণে রিপনকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলা হলে তাঁকে মামলায় সম্পৃক্ত করে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ইতিমধ্যেই ভিডিও ফুটেজ দেখে কয়েকজন খুনিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এসআই আরও বলেন, রিপন ‘ইহুদি’ বাহিনীর শীর্ষ পাঁচজনের একজন। ২০০৩ সালে ইহুদি বাহিনী বিলুপ্ত হয়। তবে এই সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যরা অন্য গ্রুপে গিয়ে অপরাধ কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে।
খুলনায় আদালতের সামনে দুজনকে গুলি করে হত্যাখুলনায় আদালতের সামনে দুজনকে গুলি করে হত্যা
উল্লেখ্য, গত রোববার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে খুলনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রধান গেটের সামনের সড়কে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় হাসিব হাওলাদার ও ফজলে রাব্বি রাজনকে। তারা খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাশ বাহিনীর সদস্য। এই জোড়া হত্যার সঙ্গে আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী রনি চৌধুরী বাবু ওরফে গ্রেনেড বাবুর সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। ঘটনার পরপর চারটি কারণ সামনে রেখে পুলিশ তদন্ত করছে।
আলোচিত এই জোড়া হত্যার ঘটনায় আজ মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত থানায় মামলা দায়ের হয়নি। খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হাসিব হাওলাদার ও ফজলে রাব্বি রাজন হত্যার ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ মামলা করতে আসেনি। তবে আশা করছি, রাতে মামলা হবে। তারপরও আমরা দু-এক দিন অপেক্ষা করব, এর মধ্যে পরিবার মামলা না দিলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবে। আমরা চেষ্টা করছি খুনিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করার।’


