মিসরের অবকাশ যাপনকেন্দ্র শারম আল–শেখে গাজা সংক্রান্ত সম্মেলনে যোগ দিতে পারেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও। তবে বিষয়টি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হয়নি। মূলত ট্রাম্পের জোরাজুরিতেই যোগ দিতে যাচ্ছেন তিনি।
ইসরায়েলি গণমাধ্যম এবং কয়েকটি আরবভাষী সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের জোরাজুরিতেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু হয়তো শারম আল-শেখ সম্মেলনেও যোগ দিতে পারেন। এমনও খবর এসেছে, তিনি মিসরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন।
তবে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ এই খবরটি নেতানিয়াহুর জন্য বেশ বিব্রতকর একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
একদিকে, এই সম্মেলনে গাজা উপত্যকার ভবিষ্যৎ, পুনর্গঠন এবং সামগ্রিকভাবে ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হচ্ছে—যেসব বিষয়ে নেতানিয়াহু একেবারেই যেতে চান না। অন্যদিকে, ইসরায়েলের ভেতরে নেতানিয়াহুর সমালোচকেরা প্রশ্ন তুলছেন, ‘‘তুমি কেন আমন্ত্রণ পাওনি? দেখা যাচ্ছে, এই অঞ্চলে তোমার জনপ্রিয়তাও কমে গেছে, প্রভাবও তেমন নেই।’
ফলে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী এক ধরনের অচলায়তনে পড়েছেন। সম্মেলনে না গেলে তিনি অঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন ও অপ্রাসঙ্গিক বলে মনে হবেন; আর গেলে দেখা যাবে, তিনি যুদ্ধ শেষের প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করছেন—যা তার ডানপন্থী মিত্রদের জন্য সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।