
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে কওমি মাদ্রাসা পড়ুয়া এক ছেলে শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে আল-আমিন (২২) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয়রা। পরে তাকে নাকে খত দিয়ে শহরের প্রধান সড়কে হামাগুড়ি দিয়ে ঘুরানো হয়। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গতকাল শুক্রবার রাতে পৌর শহরের আক্কেলপুর-বদলগাছী সড়কের আক্কেলপুর দারুল কোরআন পৌর ক্বওমী মাদ্রাসায় ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে শিশুটির মা বাদী হয়ে আক্কেলপুর থানায় মামলা করেন। অভিযুক্ত শিক্ষক পুলিশ ও স্থানীয়দের কাছে ঘটনাটি স্বীকার করেছেন। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বারইছা গ্রামের জাফর হোসেনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, শিশুটি আবাসিকে থেকে হেফজ বিভাগে পড়াশোনা করে। গত ১ ডিসেম্বর অভিযুক্ত শিক্ষক শিশুটিকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন।শুক্রবার শিশুটি বাসায় গিয়ে মনভার করে থাকে। তার মা বিষয়টি জানতে চাইলে সে ঘটনাটি জানায়। পরে শিশুটির পরিবার কয়েকজনকে নিয়ে ওই মাদ্রাসায় গিয়ে ঘটনার বিষয়ে কারণ জানতে চায়। এ সময় অভিযুক্ত শিক্ষক আল-আমিন স্বীকার করেন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে নাকে খত দিয়ে তাকে শহরের প্রধান সড়ক ঘুরানো হয়।
শিশুটির মা বলেন, ‘আমার ছেলে রাতে মাদ্রাসায় থাকে। ওই শিক্ষক আমার ছেলের সঙ্গে কয়েকদিন আগে খারাপ কাজ করে। ছেলে বাসায় এসে কান্না করতে করতে আমাকে সব জানায়। আমি ওই শিক্ষকের বিচার চাই।’
অভিযুক্ত আল-আমিন বলেন, ‘আমি শয়তানের প্রলোভনে পড়ে ছাত্রের সঙ্গে কু-কর্ম করেছি। এ ঘটনার জন্য আমি অনুতপ্ত। আমি আল্লাহর কাছে তওবা করছি।’
ওই মাদ্রাসার মুহতামিম (প্রধান শিক্ষক) হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি মাদ্রাসায় ছিলাম না। খবর পেয়ে মাদ্রাসায় এসে জিজ্ঞাসা করলে শিক্ষক তার অপকর্মের কথা স্বীকার করেন। তাকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।’
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, শিশুটির মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। ওই শিক্ষক ঘটনাটি প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


