লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের স্ত্রী জুলেখা বেগম ও তাঁর কলেজপড়ুয়া মেয়ে তানহা আক্তার মীমকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় সোহেল রানা নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার ভোরের দিকে চণ্ডীপুর এলাকা থেকে সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল রানা উত্তর চণ্ডীপুর এলাকার মোজাম্মেল হোসেন বাহারের ছেলে এবং মামলার বাদী মিজানুর রহমানের ভাতিজা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন-অর্থ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামির কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন ও জড়িত বাকিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।
এদিকে রাতে নিহতদের জানাজায় অংশ নিয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের আলটিমেটাম দেন ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে থানা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারী বলেন, নিহত জুলেখা বেগমের স্বামী মিজানুর রহমান বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাত আসামি দিয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর রামগঞ্জের উত্তর চণ্ডীপুর গ্রামে বাসায় ঢুকে জুলেখা ও তাঁর মেয়ে তানহা আক্তার মীমকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে বাসায় থাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায় ঘাতকেরা। রাতে নিহতদের পরিবারের পুরুষ সদস্যরা বাসায় গেলে জুলেখা ও মীমের গলাকাটা মরদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে রাতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে নিহতদের মরদেহ দাফন করা হয়।