
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি নাইম হোসেনকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১২-এর উপ-অধিনায়ক মেজর মো. আহসান হাবিব।
র্যাব-১২ জানায়, গতকাল বুধবার ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। নাইম সিরাজগঞ্জের চর কামারখন্দ গ্রামের মো. রহমত আলীর ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার উপজেলার কর্ণসুতি গ্রামের এক মাদ্রাসাছাত্রী (১৪) মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ছয়জন যুবক তাকে জোরপূর্বক একটি অটোরিকশায় তুলে নেয়। পরে তাকে জামতৈল সেন্ট্রাল পার্কের পাশে ‘ডেরা ফাস্টফুড অ্যান্ড চায়নিজ রেস্টুরেন্টে’ নিয়ে যায়। সেখানে নাইম হোসেন তাকে ধর্ষণ করেন।
মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান
এ সময় কিশোরীর চিৎকার যাতে বাইরে না যায়, সে জন্য বাকি আসামিরা সাউন্ডবক্সে উচ্চ স্বরে গান বাজান। পাশবিক নির্যাতনে কিশোরী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে আসামিরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে রেখে পালিয়ে যান।
পরে বিষয়টি পরিবারের লোকজন জানতে পেরে ওই দিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ঘটনার পরদিন ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই দিনই পুলিশ মামলার তিন আসামি আকাশ (২১), আতিক (২৩) ও নাজমুল হক নয়নকে (২৩) গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রধান আসামিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।


