রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ‘গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা’র জন্য রাশিয়া যাচ্ছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। রোববার (২২ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। তবে মস্কোর উদ্দেশে আজ রওনা হলেও বৈঠকটি আগামীকাল সোমবার (২৩ জুন) অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।
ইস্তাম্বুলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, রাশিয়া ইরানের পরম বন্ধু। এর বাইরেও আমরা একটি কৌশলগত অংশীদারত্বের মধ্যে আছি। আমরা সবসময় একে অপরের সমস্যা ও পারস্পরিক বিষয়গুলো নিয়ে আলচনা করি, একে অপরের পরামর্শ গ্রহণ করি এবং আমাদের অবস্থানের সমন্বয় সাধন করি। এ সময়, রাশিয়া জেসিপিওএ-তে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর মধ্যে একটি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সেইসঙ্গে, আগামীকাল রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ‘গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা’র পর একে অপরের সঙ্গে সমন্বয় করে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে একযোগে কাজ চালিয়ে যাবেন বলেও নিশ্চয়তা দেন তিনি।
রাশিয়া ও ইরান গত জানুয়ারিতে একটি ‘বিস্তৃত অংশীদারত্ব চুক্তি’ স্বাক্ষর করে, যা তাদের ঘনিষ্ঠ কৌশলগত মৈত্রীকে আরও মজবুত করে। তবে এই চুক্তিতে কেউ হামলার শিকার হলে পারস্পরিক সামরিক প্রতিরক্ষার কোনো বাধ্যবাধকতা রাখা হয়নি।
এর আগে, গত রাতে মার্কিন বোমারু বিমান দিয়ে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার জেরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) দেয়া এক পোস্টে বলেন, এই হামলা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির গুরুতর লঙ্ঘন। সেইসঙ্গে তিনি সতর্ক করেন, এই হামলার ‘চিরস্থায়ী পরিণতি’ ভোগ করতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে।
পোস্টে হুঁশিয়ারি দিয়ে আরাঘচি আরও বলেন, ইরান তার সার্বভৌমত্ব, স্বার্থ এবং জনগণকে রক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে।
এর পরপরই ইসরাইলের বেন গুরিয়ন বিমান বন্দরসহ বেশ কিছু স্থানকে টার্গেট করে মিসাইল হামলা চালায় ইরান।