খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু বলেছেন, দক্ষিণ জনপদের দক্ষ রাজনীতিক ও সাংবাদিক ছিলেন সৈয়দ ঈসা। ছাত্রজীবনে মার্কসবাদী দর্শনে, পরবর্তীতে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের দর্শনের মানুষ ছিলেন তিনি। রাজনীতির পাশাপাশি সাংবাদিকতাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছিলেন আমৃত্যু। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে নিজের দর্শনকে পাঠকের কাঁধে চাপিয়ে দেননি বলে তিনি সর্বমহলে জনপ্রিয় ছিলেন। রাজনীতি ও সাংবাদিকতাকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখতেন। রাজনীতিতে বেশিরভাগ সময় রাজপথে ছিলেন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। ভাত কাপড়ের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলে বড় আসন তাকে আকর্ষণ করেনি।
সোমবার (৫ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি আয়োজিত দৈনিক দিনকালের সাবেক খুলনা ব্যুরো প্রধান ও খুলনা জেলা বিএনপি’র সাবেক আহবায়ক সৈয়দ ঈসার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মন্টু বলেন, মরহুম সৈয়দ ঈসা বৃহত্তর খুলনার সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার সম্ভ্রান্ত সৈয়দ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ’৬০-এর দশকে তুখোড় ছাত্রনেতা ছিলেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর অন্যতম সহচর ছিলেন। সৈয়দ ঈসা মওলানা ভাসানীর ঐতিহাসিক ফারাক্কা লং মার্চে অংশ নেন এবং ভাসানীর কাছে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বিএনপি’র প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে জড়িত ছিলেন এবং খুলনা জেলা বিএনপি’র আহবায়কসহ বিএনপি’র গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন খান জুলফিকার আলী জুলু, মোল্লাা খায়রুল ইসলাম, কাজী মাহমুদ আলী, শের আলম সান্টু, শেখ তৈয়বুর রহমান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, শেখ সাদী, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, কামরুজ্জামান টুকু ,এনামূল হক স্বজল, কে এম হুমায়ূন কবির, চৌধুরী কওসার আলী, শেখ আনিসুর রহমান, শেখ আরিফুর রহমান, আলী আক্কাস, ওয়াহিদুজ্জামান রানা, জাফরী নেওয়াজ চন্দন, যুবদলের ইবাদুল হক রুবায়েদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের- আতাউর রহমান রুনু, মুনতাসির আল মামুন, শ্রমিক দলের মুজিবর রহমান, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, আসাদুজ্জামান আসাদ, জাকির ইকবাল বাপ্পী, শেখ আবু সাইদ, ইফতেখার হোসেন বাবু, শেখ মনিরুজ্জামান মনির, মাসুদ-উল হক হারুন, আজিজুর রহমান, সাহিনুল ইসলাম পাখি, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, মেশকাত আলী, সাইফুল ইসলাম, মোঃ ওহিদুজ্জামান হাওলাদার, কাজী মোঃ মিজানুর রহমান, মহিলা দলের সেতারা সুলতানা, নাসরিন হক শ্রাবনী, জেসমিন আখতার, কাকলি খান, কানিজ ফাতেমা নুপুর, রেহানা ইসলাম, শেখ সরোয়ার, মোঃ ইয়াছিন মোল্লা, আব্দুল কাদের মল্লিক, ইয়াজুল ইসলাম এপোলো, তৌহিদুল ইসলাম বাবু, নাদিম আশফাক, গাজী হারুন প্রমূখ।
আলোচনা শেষে ওলামা দলের আহ্বায়ক আবু নাঈম দোয়া পরিচালনা করেন। উল্লেখ্য সৈয়দ ঈসা ২০০১ সালের ৩ মে দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন।