খুলনায় সাবেক যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমানকে গুলি করে এবং পায়ের রগ কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (১১ জুলাই) জুম্মার নামাজের আগে নগরীর দৌলতপুর থানাধীন মহেশ্বরপাশা পশ্চিম পাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। বর্তমানে তার লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে রয়েছে।
মৃত মাহবুবুর রহমান মহেশ্বরপাশা পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. আব্দুল করিম মোল্লার ছেলে।
মোল্লা মাহবুবুর রহমান দৌলতপুর থানা যুবদলের সহ-সভাপতি ছিলেন। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় রাম দা হাতে তার ছবি ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ওই রাতেই সংগঠন থেকে মাহাবুবকে বহিষ্কার করা হয়। এরপরও তিনি নিয়মিত দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার দুপুরে বাড়ির সামনে নিজের প্রাইভেটকার পরিষ্কার করছিলেন মাহবুব। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা তিন ব্যক্তি গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। মাহবুব গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে যান। এ সময় দুর্বৃত্তরা মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে পায়ের রগ কেটে দেয়।
এদিকে যুবদল নেতা মাহবুবকে হত্যার সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম শফিকুল আলম মনা, যুবদলের সভাপতি আব্দুল আজিজ সুমন, সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রুবেলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম শফিকুল আলম মনা অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে একাধিকবার বলা হয়েছে, খুলনার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। আমরা দাবি করেছি পরিস্থিতি ঠিক করার জন্য। কিন্তু কেএমপির পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যদি ব্যবস্থা নেওয়া হতো তাহলে আজ মাহবুবের মতো তরতাজা জীবন দিতে হতো না। দিনের বেলা প্রকাশ্য দিবালকে তাকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, আমরা এর নিন্দা জানানোর ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। পুলিশের কোনো তৎপরতা নেই।
তিনি বলেন, যুবদলে মাহবুবের যে কর্মকাণ্ড ছিল তাতে তার শত্রু থাকার কথা নয়। হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই এবং প্রকৃত হত্যাকারীদের শাস্তি চাই।
দৌলতপুর থানার ওসি মীর আতাহার আলী জানান, মাদক বিক্রি নিয়ে প্রতিপক্ষ গ্ৰুপের সঙ্গে মাহাবুবের দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জেরে হামলা কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে চারটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্বৃত্তদের গ্ৰেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।
ওসি আরও জানান, মাহাবুবের বিরুদ্ধে মাদকসহ ৮টি মামলা রয়েছে।