খুলনার গল্লামারিতে মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার কার্যালয় দখলে নিয়ে ‘শহীদ মীর মুগ্ধ হল’ ঘোষণা করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ের আন্দোলনের অংশ হিসেবে রোববার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদি চত্বরে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা মিছিল সহকারে মৎস্য বীজ খামার কার্যালয়ে যান। সেখানে সমাবেশ শেষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ১০ মিনিটের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বের হয়ে যেতে বলেন তারা। পরে কর্মকর্তারা চলে গেলে শিক্ষার্থীরা মূল ভবনে ‘শহীদ মীর মুগ্ধ হল’ লেখা ব্যানার টানিয়ে দেন। তারা দুপুর ২টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
জানা গেছে, বিশ^বিদ্যালয়ের সীমানার ভেতরে অবস্থিত ১০.৩৫ একর আয়তনের এ খামারটি আবাসন সংকট নিরসন, গবেষণাগার সম্প্রসারণ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে বড় বাঁধা হয়ে আছে। বর্তমানে খুবির শিক্ষার্থী সংখ্যা ৭ হাজারের বেশি হলেও হল রয়েছে মাত্র পাঁচটি। ফলে মাত্র ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী আবাসন সুবিধা পাচ্ছেন। জীববিজ্ঞানভিত্তিক ডিসিপ্লিনগুলোর মাঠ গবেষণার ক্ষেত্রেও জমির অভাব তীব্র সমস্যা তৈরি করছেএর আগে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে শিক্ষার্থীরা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিবের কাছে স্মারকলিপি দেন এবং মানববন্ধন, বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মৎস্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে জমি হস্তান্তরের অনুরোধ জানায়। চলতি বছরের মার্চে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার দাবিকে যৌক্তিক উল্লেখ করে সমাধানের আশ্বাস দিলেও এখনও বিষয়টি ঝুলে আছে।
গল্লামারী মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারের ব্যবস্থাপক মেহেদী হাসান বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ সহকারে এসে আমাদের সাইনবোর্ড ভেঙে দেয়। তারা মীর মুগ্ধ হল নামে একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়। এছাড়া প্রধান গেটে তালা লাগিয়ে দেয়। বিষয়টি আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।