খুলনা মহানগরীর ট্যাংক রোডের এক বাড়ির চিলেকোঠা থেকে মো. আল-আমিন সবুজ (৩৭) নামের এক যুবকের অর্ধগলিত ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে পুলিশ তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। পরিবারের অভিযোগ, তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের বোন অভিযোগ করে জানান, দীর্ঘদিন ধরে ট্যাংক রোডের এই বাড়ি নিয়ে চাচা ও চাচাতো ভাইদের সঙ্গে ঝামেলা চলছিল। এই বাড়ি নিয়ে খুলনা সদর থানায় মামলাও করা আছে। এটা আমাদের বাবার বাড়ি। কিন্তু তারা আমাদের এ বাড়িতে আসতে দেয় না। সবুজ প্রায়ই আসতো এই বাড়িতে। বেশিরভাগ সময় চাচা ও চাচাতো ভাইরা তাকে মারধর করত। বুধবার সবুজ বাড়ি থেকে বের হয়েছে। তারপর তাকে আর খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তারপর খুঁজতে খুঁজতে এই বাড়িতে আসি। এসে দেখি তার অর্ধগলিত ঝুলন্ত লাশ। আমার চাচা ও চাচাতো ভাইরা তাকে হত্যা করেছে।
পুলিশ জানায়, সকাল ৯টার দিকে ট্রিপল নাইনের মাধ্যমে জানতে পারি ট্যাংক রোডে একটি ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা সেখানে উপস্থিত হই। এই মুহূর্তে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু বলা যাচ্ছে না। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম বলেন, সবুজ মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তিনি ফার্ণিচারের দোকানে কাজ করতেন। গত ২৪ সেপ্টেম্বর কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে যায়নি। পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ নিয়ে না পেয়ে গতকাল ২৬ সেপ্টেম্বর খুলনার রূপসা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট হাতে আসলে বোঝা যাবে এটি আত্মহত্যা বা অন্যকিছু।