ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই হামলাকে ‘খুব সফল’ বলে দাবিও করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় রাত আটটার একটু আগে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প এ ঘোষণা দেন।
ইরানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার ঘোষণা দেওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল বিশ্বজুড়ে অচল হয়ে পড়ে।
স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টার দিকে এই বিভ্রাট শুরু হয়, যা চলে অনেকক্ষণ। তবে এখন আবার স্বাভাবিকভাবে চলছে প্ল্যাটফর্মটি।
শনিবার স্থানীয় সময় রাত ৭টা ৪৬ মিনিটে ট্রুথ সোশ্যালের এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, ‘আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা—ফোরদো, নাতান্জ ও ইস্পাহানে অত্যন্ত সফলভাবে হামলা সম্পন্ন করেছি। সব বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে।’
এই ঘোষণার ঠিক সাত মিনিট পর ৭টা ৫৩ মিনিটে ট্রাম্পের এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্টটির একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করা হয়।
এরপর স্থানীয় সময় রাত ৮টার পর থেকে ট্রুথ ব্যবহার করতে গিয়ে বিশ্বব্যাপী বহু ব্যবহারকারী সমস্যার মুখে পড়েন। অনেকেই ‘নেটওয়ার্ক ফেইলড’ বা ‘প্লিজ ট্রাই অ্যাগেইন’ বার্তা দেখতে পান। প্রযুক্তি ত্রুটি শনাক্তকারী সাইট ডাউনটেকারও রাত ৮টার দিকে ট্রুথ সোশ্যালের অচল হয়ে পড়ার অনেক রিপোর্ট পায়।
ব্লুস্কাই অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা নেটব্লকস জানায়, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার ঘোষণা দেওয়ার পরপরই ট্রুথ সোশ্যাল আন্তর্জাতিকভাবে অনেক ব্যবহারকারীর জন্য অচল হয়ে পড়েছে। এ ঘটনা দেশীয় পর্যায়ে কোনো ইন্টারনেট ব্লক বা ফিল্টারিংয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।’
১৩ জুন ইসরাইল হামলা শুরু করলে ট্রাম্প প্রশাসনের তরফ থেকে প্রথম বিবৃতি দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধ থেকে দূরে রাখা হয়। ইসরাইলের পাশে থাকার কোনো উল্লেখও বিবৃতিতে ছিল না। বিষয়টি ছিল অস্বাভাবিক ঘটনা।
পরে যখন দেখা গেল, ইসরাইলের প্রথম রাতের হামলা সফল, তখন ট্রাম্প সেই অভিযান নিয়ে নিজের কৃতিত্ব দাবি করতে শুরু করেন। সাংবাদিকদের তিনি ইঙ্গিত দেন, এই মিশনে তার ভূমিকা লোকের ধারণার চেয়েও বেশি।
সেই সপ্তাহান্তে যখন ট্রাম্প কানাডায় জি-৭ সম্মেলনে যেতে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে বলেছিলেন, সম্ভবত তাকে ‘সবচেয়ে বড়টি’ ফেলতে হবে।
ট্রাম্প এ কথা বলে ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের বাংকার–বিধ্বংসী বোমাকে বোঝাচ্ছিলেন, যেগুলো কেবল যুক্তরাষ্ট্রের কাছেই আছে।