কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সাগরে মাছ শিকারে গিয়ে আরাকান আর্মির হাতে আটকের পর কৌশলে পালিয়ে এসেছেন ১৮ জেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তাঁরা একটি ট্রলারে করে শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে পৌঁছালে কোস্ট গার্ড তাদের হেফাজতে নেয়। আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, জেলেদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে রাতেই পরিবারের কাছে জেলেদের হস্তান্তর করেছে।
এর আগে বুধবার বিকেলে সেন্ট মার্টিনে সাগরে মাছ ধরার সময় পাঁচটি ট্রলারসহ ৪০ জন জেলেকে আটক করে আরাকান আর্মি।
পালিয়ে আসা জেলে শামসুল আলম বলেন, ‘মোহাম্মদ হাসানের মালিকানাধীন ট্রলার নিয়ে গত মঙ্গলবার সাগরে আমরা মাছ শিকারে যাই। গত বুধবার আরাকান আর্মি স্পিড বোট দিয়ে ধাওয়া করে পাঁচটি ট্রলারসহ আমাদের ৪০ জনকে আটক করে। আমাদের ট্রলারে ১০ জন এবং আরেকটি ট্রলারে আটজন জেলে ছিলাম। আরাকান আর্মির দুই সদস্য আমাদের ট্রলারে ওঠে এবং সামনে-পেছনে তাদের স্পিড বোট থাকে। ট্রলারগুলো মিয়ানমারের দিকে চালাতে বলে। অন্ধকারে আরাকান আর্মির স্পিড বোটটি সামনের দিকে এগিয়ে গেলে আমরা সুযোগ নিয়ে উল্টো দিকে ঘুরে সেন্ট মার্টিনের কাছাকাছি চলে আসি। এ সময় আমাদের ট্রলারে থাকা আরাকান আর্মির দুই সদস্য সাগরে ঝাঁপ দিয়ে তাদের সীমান্তের দিকে সাঁতরে চলে যায়। অন্ধকার থাকায় পরে আমরা ট্রলার নিয়ে পালিয়ে আসতে সক্ষম হই।’
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর জানান, পুলিশ জেলেদের তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে মিয়ানমারের জলসীমার কাছাকাছি মাছ শিকারে না যাওয়ার মুচলেকা নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে তাঁদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।