ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক পরিদর্শনে গিয়ে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে যানজটে আটকা পড়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের সোহাগপুর এলাকায় আটকা পড়েন তিনি। এরপর গাড়ি থেকে নেমে হাঁটা শুরু করেন। পরে বাহাদুরপুর এলাকায় তিনি একটি মোটরসাইকেলে করে বিশ্বরোডের দিকে রওনা হন। সঙ্গে আরেকটি মোটরসাইকেলে ছিলেন উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনউদ্দীন।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার বিশ্বরোড মোড়ে যাওয়ার কথা ছিল সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার। ওই মুহূর্তে আশুগঞ্জের সোহাগপুর থেকে সরাইল উপজেলার বাড়িউরা পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকায় যানজট তৈরি হয়। পরে মোটরসাইকেলে করে দুপুর ১টার দিকে সরাইল বিশ্বরোডে পৌঁছান তিনি।
উপদেষ্টার সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম ও পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক এবং সড়ক ও জনপথের কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন। এ সময় সরাইল বিশ্বরোড মোড়ে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোশারফ হোসেন ও হাইওয়ে পুলিশ সুপার শাহীনুর আলম উপদেষ্টার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, আশুগঞ্জের সোহাগপুর থেকে সরাইল উপজেলার বাড়িউরা পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
সিলেট থেকে মঙ্গলবার রাত ১০টায় ছেড়ে আসা হানিফ পরিবহনের চালক নুর ইসলাম বলেন, সারারাত যানজটে পড়তে হয়েছে। বুধবার সকাল ১১টায়ও আশুগঞ্জ অতিক্রম করা যায়নি।
সরাইল ইউএনও মোশারফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সকাল থেকে মহাসড়কে তীব্র যানজট। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যানজট নিরসনে কাজ করছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত জুলাই মাসে হবিগঞ্জে সরকারি সফরে যাওয়ার সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার প্রায় ৩ ঘণ্টা যানজটে আটকা পড়েন।