সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা মঙ্গলবার , ১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বন্ধ হয়ে গেল ভারত-বাংলার ইছামতি নদীর মিলন মেলা! | চ্যানেল খুলনা

বন্ধ হয়ে গেল ভারত-বাংলার ইছামতি নদীর মিলন মেলা!

বাংলাদেশ-ভারত দুদেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত বিজয়া দশমির বিসর্জন মিলন মেলা নানা জটিলতায় বন্ধ হয়ে গেছে। এতে দুই বাংলার মিলন মেলার ভেলা হয়ত আর কখনো ভাসবে না ইছামতিতে। বিগত কয়েক বছর যার যার সীমারেখার মধ্যে কঠোর নজরদারীতে বিজয়া বিসর্জন মেলা সম্পন্ন হলেও এবার করোনা পরিস্থিতে সেটিও বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ও ঐতিহ্যবাহী প্রতিমা বিসর্জনাস্থল দেবহাটার ইছামতি নদী। এই দিনে আসা আগত দর্শানার্থীদের চোখে মিলে হতাশা। দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ব বৃহৎ উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। এই বিসর্জন কে ঘিরে অনুষ্ঠিত হত মিলন মেলা। যা দেশ বিভাগের পরও বন্ধ হয়নি।
বিগত বছরগুলোতে এই দিনে ইছামতি নদীর তীরে আন্তর্জাতিক সীমারেখাসহ দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে মিলন মেলায় মিলিত হয় পাশাপাশি অবস্থিত প্রতিবেশী দু’দেশের হাজার হাজার মানুষ। আইন-শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে এবং করে উভয় দেশের মানুষ সীমান্ত অতিক্রম করে পারাপারসহ সন্ত্রাসী, পলাতক আসামী, দৃষ্কৃতিকারীরা যাতে করে অবৈধভাবে এক দেশ থেকে অন্য দেশে না যেতে পারে সেজন্য কঠোর ব্যবস্থা করে প্রশাসন। তারই পরিপেক্ষিতে দু’দেশের জাতীয় ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কঠিন সিদ্ধান্তে ৬ বারের মত বন্ধ হল ঐতিহ্যবাহী এই মিলন মেলা। দিনটিতে নিরাপত্তার লক্ষে বাংলাদেশ-ভারতের আন্তর্জাতিক সীমানা নির্ধারণী ইছামতি নদীর বিস্তৃত জিরো পয়েন্ট এলাকা জুড়ে নৌযানে টহল জোরদার করে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সদস্যরা। তাছাড়া দায়িত্বরত অবস্থায় পর্যাপ্ত সংখ্যক সাদা পোশাকধারী গোয়েন্দা পুলিশ, প্রবেশ পথ সহ সকল সড়কের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দায়িত্বে ছিল ট্রাফিক পুলিশ। দিনটিতে বেলা বাড়ার সাথে সাথে দেবহাটাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানের পূজা মণ্ডপ থেকে দেবী দুর্গার প্রতিমা নিয়ে ইছামতি নদীর এই বিসর্জনাস্থলে আসতে থাকে ভক্তরা। পরে সন্ধ্যার আগ মূহুর্তে অশ্র“সিক্ত নয়নে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গাকে বিদায় জানায় দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুুষ। তবে সুষ্ঠুভাবে প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন হলেও কয়েক বছর মিলন মেলা না হওয়ায় প্রত্যেকের মাঝে ছিলো হতাশার চিহ্ন। কয়েক বছরের ন্যায় সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্তের ইছামতি নদীতে শারদীয় দুর্গোৎসবের বিজয়া দশমীতে ভাসেনি দু’বাংলার মিলন মেলার তরী। ফলে অনেকটা হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন দু’বাংলার মানুষ। প্রতিবছর বাংলাদেশ সীমান্তে ব্যাপক আয়োজন করা হয়। বিগত বছরগুলোয় নানা জটিলতায় আয়োজন সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে স্থানীয়রা বলেন, দেশ বিভাগের অনেক আগে থেকেই সীমান্তের ইছামতি নদীর উভয় তীরে দুর্গা পূজার শেষ দিন বিজয়া দশমীতে মেলা বসে আসছে। দেশ বিভাগের পরও বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি সীমান্তের সীমারেখা। নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে এ মেলা কখনও বন্ধ হয়নি। সারা বছর ধরে শুধু ইছামতি নদীর পাড়ের মানুষ নয়, বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন এলাকার মানুষ এ দিনটির জন্যে থাকে অপেক্ষায়। বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিজর্সন উপলক্ষে ইছামতির উভয় পাড়ে বসে নানারকমের দোকান। আত্বীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাত ছাড়াও এখানে আসা মানুষ উভয়ের মধ্যে ভাব বিনিময় শেষে সন্ধ্যার পরে ফিরে যায় যে যার দেশে, যে যার ঘরে। বাঙ্গালীর জাতীর সর্বজনীন উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা বিজয়া দশমী প্রতিমা বিসর্জন ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে সকলের মাঝ থেকে। আগামী প্রজন্ম হয়ত আর উপভোগ করতে পারবে না উৎসব মূখর এই আনন্দঘন দিনটি। দু-দেশের জটিলতায় হয়ত একদিন সকলের মাঝ থেকে হারিয়ে যাবে দিনটি।

https://channelkhulna.tv/

সাতক্ষীরা আরও সংবাদ

তালায় সংগ্রাম ক্লাবের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

তালায় সুধীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করলেন নবাগত জেলা প্রশাসক আফরোজা আখতার

তালা খাবারের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ মিশিয়ে দুর্ধর্ষ চুরি

তালায় দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন সাংবাদিক গণেশের পিতা

বেগম রোকেয়া দিবসে ‘অদম্য নারী’ সম্মাননায় ভূষিত হলেন শিরিনা সুলতানা

তালায় নবাগত ইউএনও’র সাথে সুধীজনদের মতবিনিময় সভা

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ ৫ কেডিএ বানিজ্যিক এলাকা, আপার যশোর রোড, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।