জয়পুরহাটে পারিবারিক কলহের জেরে মাথায় কোপ দিয়ে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে জহির উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জহির উদ্দিন বিদ্যুতায়িত হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করায় তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার ভোরে সদর উপজেলার পুরানাপৈল ইউনিয়নের বড় তাজপুর গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
আজ সকালে পুলিশ নিহত নারী রোকেয়া বেগমের (৪৫) লাশ উদ্ধার করেছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় নিহতের স্বামী জহির উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার রাতে ঝগড়ার জের ধরে ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী রোকেয়া বেগমের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেন জহির উদ্দিন। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে নিজে বৈদ্যুতিক শক নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।
প্রতিবেশীরা জানান, প্রায়ই কলহে জড়াতেন এ দম্পতি। জহির উদ্দিন প্রায় দিনই স্ত্রীকে মারধর করতেন। তাঁদের এক ছেলে ঢাকায় রিকশা চালান, ছেলের বউ বিদেশে থাকেন। গ্রামের বাড়িতে রোকেয়া বেগম ও জহির উদ্দিন দুই নাতিকে নিয়ে বসবাস করতেন।
জয়পুরহাট থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) নাজমুল কাদের বলেন, ‘নিহতের মাথার বাম পাশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেওয়া হয়েছে। এতে কানের কিছু অংশও কেটে গেছে। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।’