খুলনায় আদালত প্রাঙ্গণে বাদী ও বিবাদী দুই পক্ষের সংঘর্ষে বাবর আলী (৪০) নামে এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। সোমবার বিকেলে খুলনার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
আদালত সুত্রে জানা যায়, তেরখাদা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ফারুক মীর হত্যা মামলার আসামিরা জামিন নিতে আদালতে আসে। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক তানিয়া আক্তার জামিন শুনানি বিকেল ৩টায় ধার্য্য করেন। পরে ৩টার দিকে শুনানি শেষে ৫০জনকে ১৫ দিনের জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে ছিল। পরে ১০তলার ৬ষ্ঠ তলার আদালত থেকে নিচে নামার সময় মামলার বাদী ও আসামিপক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়, পরে তা ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়ায় রূপ নেয়।
এসময় আদালত ভবনে থাকা অগ্নিনির্বাপনী গ্যাস সিলিন্ডার থেকে গ্যাস ছাড়া হয়। এখবর ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষে লোকবল বাড়ে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলায় বাবর আলী আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।
উলেখ্য, গত ৫ সেপ্টেম্বর তেরোখাদা উপজেলার উত্তর কোলা গ্রামের ফারুক হোসেন মীরকে দিঘলিয়া উপজেলার গাজীরহাট কোলা বাজার সংলগ্ন শরিফুল ইসলামের বাড়ির ভেতরে ফেলে ২০/২৫ জনের এক সঙ্গবদ্ধ চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা ধারালো দেশী অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাতœক রক্তাক্ত জখম করে। আহত অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আরও ১০ জন আহত হয়।
হত্যা কান্ডের ঘটনায় নিহত ফারুক মীরের পিতা গাউস আলী মীর বাদী হয়ে দিঘলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় একই এলাকার মোহাম্মদ কাজী, দ্বীন ইসলাম সরদার, নিহাল উদ্দিন শিকদার, রিপন শেখ, মিলটন শেখ, লিটন শেখ, রবিউল শেখ, মজিদ শিকদার, বিলাল কাজী, মালেক কাজী, মোস্তাক কাজী, আনিস কাজী, আহমেদ কাজী, এসকেন্দার কাজী, তারেক কাজী, তাবারেক কাজী, ওবায়দুল মোল্যা, নুরু মোল্যা, জাহিদুল মোল্যা, ফরিদুল শেখসহ ৫৪ জনকে আসামী করা হয়।