
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক ও তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট। একই সঙ্গে ইনকিলাব মঞ্চের নেতার হত্যাকারীদের ও তাদের পেছনের শক্তির বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে ৭ ডিসেম্বর আত্মপ্রকাশ করা এই জোট।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) ও বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন নিয়ে গঠিত জোটটি আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এই দাবি জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, ওসমান হাদির শোকসন্তপ্ত পরিবার ও সারা দেশে তাঁর সহযোদ্ধাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট। একই সঙ্গে ওসমান হাদির ওপর ঘটে যাওয়া পুরো ঘটনায় এবং সার্বিকভাবে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসন, গোয়েন্দা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যর্থতার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট দেশের বিভিন্ন স্থানে এই হত্যাকাণ্ডকে ব্যবহার করে চলমান উচ্ছৃঙ্খলতার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
জোটের শীর্ষ নেতা নাহিদ ইসলাম, হাসনাত কাইয়ূম ও মজিবুর রহমান মঞ্জু যৌথ বিবৃতিতে বলেন, পরাজিত ও পলাতক হাসিনার খুনি-সন্ত্রাসী, ভারতীয় আগ্রাসনবাদী ও দেশের মধ্যে লুকিয়ে থাকা দোসরেরা মিলে দেশে চরম অরাজকতা তৈরি করতে চান। দেশে গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি তারা তৈরি করতে চায়। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কার পরিষদ বানচাল করে এ দেশে অগণতান্ত্রিক তৃতীয় শক্তির উত্থান তারা করতে চায়।
তাদেরই উসকানিতে গতকাল রাতে একাধিক পত্রিকা অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কূটনীতিকের বাসভবনে হামলা হয়েছে; দেশবরেণ্য সাংবাদিক ও জুলাইয়ের অন্যতম পক্ষশক্তি নূরুল কবীরকে নাজেহাল করা হয়েছে।
এসব ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান নেতারা।
বিবৃতিতে জোটের শীর্ষ তিন নেতা দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে শোকসন্তপ্ত জনগণকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান। খুনি, সন্ত্রাসী ও দেশবিরোধী শক্তির উসকানিতে পা না দিয়ে ধৈর্য ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার কথা বলা হয়। একই সঙ্গে ওসমান হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে অবস্থান করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের আহ্বান জানানো হয়।


