যশোরের শার্শায় দুই সন্তানের জননী গৃহবধূ (৩৮) গনধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পরদিন অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গ্রাম্য সালিস বসিয়ে চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করেছে স্থানীয় মাতব্বররা। এ ধরনের অপরাধের বিচার গ্রাম্য সালিসে করায় স্থানীয় লোকজনের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শার্শা উপজেলা উলাশী ইউনিয়নের কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ওই গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে আমজেদ আলী, আক্তারের ছেলে আব্দুল্লাহ ও টুকুর ঘর জামায় সিরাজ পলাতক রয়েছে। গৃহবধু বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলে জানাগেছে।
স্থানীয়রা জানান, গৃহবধুর স্বামী খুলনায় থেকে ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রতিবেশী আব্দুল্লাহ প্রায় সময় ওই গৃহবধুকে উত্ত্যক্ত করত। গত মঙ্গলবার গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে ছিলো না। এ এসময় বাড়িতে গৃহবধূকে একা পেয়ে ওই গ্রামের আব্দুল্লাহ তার দুই বন্ধু আমজেদ ও সিরাজকে সাথে নিয়ে গনধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর এলাকায় জানাজানি হলে নড়েচড়ে বসেন স্থানীয় মাতব্বাররা। পরের বিষয়টি নিয়ে গ্রামে সালিশ বসানো হয়। যে সালিশে কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আদুল হোসেন, আকবার আলী নেতৃত্ব দেন। সালিশের একপর্যায়ে অপরাধ প্রমানিত হওয়ার কারনে তাদেরকে বেদম ভাবে মারপিঠ করা হয় এবং ৩ লক্ষ জরিমান আদায় করেন মাতব্বাররা।
কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আদুল হোসেন জানান, ঘটনাটি শুনে এলাকাবাসির অনুরোধে সালিশি বৈঠকে বসা হয়েছে। তবে ৩লক্ষ টাকা জরিমানা আদায়ের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম রবিউল ইসলাম বলেন, ঘটনা জানতে পেরে ভিকটিম গৃহবধূকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তার জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনা সত্যতা পাওয়া গেছে। মামলা করার প্রস্তুতি চলছে এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।