ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বাংলাদেশে ৭৩ থেকে আজ পর্যন্ত কেউ একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারে নাই।এই জন্য আমরা সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি করছি।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ৩ টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা জলমা ইউনিয়ন শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, শুধু হাবিবুল আউয়াল কিংবা নুরুল হুদাকে গ্রেফতার করলে হবে না। ২০১৪ ও ২০১৮ নির্বাচনে যারাই দিনের ভোট রাতে করতে আওয়ামীলীগ কে সহযোগিতা করেছে তাদের সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। যাতে আগামীতে যারাই নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবে তারা অতীত থেকে শিক্ষা নিতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ থেকে বৈষম্য দূর করতে ২ হাজার জীবন দিয়েছি।অগণিত মানুষ পঙ্গুত্ববরণ করেছি। অথচ ৫ তারিখের পরে আবারো একটি দল দখলদারী, চাঁদাবাজি, জুলুম, অত্যাচার, অবিচার, হত্যা চালাচ্ছে। এইজন্য আমরা আওয়ামী বাহিনীর অস্ত্রের মুখে রাস্তায় নামি নাই।আমরা এদেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে, বৈষম্য দূর করতে রাস্তায় নেমেছিলাম।
তিনি বলেন, আজ সময় এসেছে যারা আমাদের রক্তের উপর দাড়িয়ে চাঁদাবাজির, দুর্নীতি খুন খারাপিতে মেতেছে তাদেরকে উৎখাত করতে হবে। এই জন্য ইসলামিক দলকে ক্ষমতায় আনতে হবে। তাহলেই দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা পাবে, মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পাবে।
প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, জুলাই সনদ আইন ভিত্তি ও ইনসাফভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আলোচনা সভা বিশ্বরোড মৃধা কমপ্লেক্সে ১ নং জলমা ইউনিয়ন সভাপতি মাওঃ দীন ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মোমিন ইসলাম নাসিব এর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি আলোচনা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মাও: মোজাফফর হোসেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সভাপতি মুফতী আমানুল্লাহ, খুলনা জেলা সহ সভাপতি মাওলানা আবু সাঈদ, মহানগর সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, সেক্রেটারী মুফতী ইমরান হোসাইন, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী মোঃ ইমরান হোসেন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক ফেরদৌস গাজী সুমন, কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রবিউল ইসলাম তুষার, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন মহানগর সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক পলাশ শিকদার, ইসলামী আন্দোলন লবণচরা থানার সভাপতি মাওলানা নাসিম উদ্দিন, হরিণটানা থানা সভাপতি মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম, গাজী মুরাদ হোসেন, আলহাজ্ব কাজী নজরুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন মহানগর সভাপতি মাহদী হাসান মুন্না, যুব আন্দোলনের আরিফুল ইসলাম, নাজিম হাওলাদার নাঈম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শাফায়েত হোসেন লিখন, মোঃ সেলিম বাহার, মাওঃ রুহুল আমিন, গণ-অধিকার পরিষদের মোঃ জাহিদুল ইসলাম জাহিদ প্রমুখ।