পবিত্র আশুরা মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্যপূর্ণ ও শোকাবহ দিন। মহান আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা পাওয়ার আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নফল রোজা, নামাজ, দান-খয়রাত ও জিকির-আসকারের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করেন।
হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেন (রা.) এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা কারবালার প্রান্তরে ফোরাত নদীর তীরে নির্মমভাবে শহীদ হন।
শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম ইসলামের মহান আদর্শকে সমুন্নত রাখতে হজরত ইমাম হোসেন (রা.)-এর আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে আছে। কারবালার এই শোকাবহ ঘটনা অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে অনুপ্রেরণা জোগায়। সত্য ও সুন্দরের পথে চলার প্রেরণা জোগায়।
সুন্নি সম্প্রদায় এদিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। এর মধ্যে শোক মিছিল উল্লেখযোগ্য।
রবিবার (৬ জুলাই) বিকেল সারে ৫ টায় খুলনা নগরীর খালিশপুর বায়তুল ফালাহ ঈদগাহ ময়দান থেকে বাজমে হোসাইনি মহররম কমিটির উদ্যোগে সুন্নি সম্প্রদায়ের শোক র্যালি বের করা হয়েছে। বাজমে হোসাইনি মহররম কমিটির প্রধান উপদেষ্টা মোঃ খোদা বক্স কোরাইশী কাল্লুর সভাপতিত্বে শোক মিছিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি এ্যাড. এস এম শফিকুল আলম মনা।
শোক মিছিলে বাজমে হুসাইন মহরম কমিটির সভাপতি মোঃ কাউসার আলী-এর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদী, সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা মাস্টার শফিকুল আলম, বিএনপি নেতা বদরুল আলম, হাসান উল্লাহ বুলবুল, জাহিদুল হোসেন, মাফিজুর রহমান মাজু, আরিফুর রহমান শিমুল, আব্দুল হাই কাল্লু, বাজমে হুসাইন মহরম কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহজাদ হোসেন টেক্কা, মোঃ গমখার হোসেন, মশিউর রহমান খোকন, জাহিদুর রহমান রিপন, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ শাকিল, মোঃ গফফার, হীরা, মিরাজ, নয়ন, কুরবান, মোঃ মুন্না, নূর মোহাম্মদ, অনিক, মুন্না, মোঃ রানা, খলিল, সগির, খুরশিদ, মোঃ ছোটকা সহ খালিশপুর থানার অন্তর্গত বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ইমাম বাড়ির নেতৃবৃন্দ সহ বাজমে হোসাইনি মহররম কমিটির নেতৃবৃন্দ।
শোক মিছিলটি খালিশপুর বায়তুল ফালাহ ঈদগাহ ময়দান থেকে শুরু হয়ে খালিশপুরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে গোয়ালখালী কবরস্থানে অবস্থিত কারবালায় গিয়ে সালামের মধ্যদিয়ে শেষ হয়।