
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এখনো ভোটার হননি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ। আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কি ভোটার হয়েছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘আমার জানামতে হননি।’
তাহলে উনি কি প্রার্থী এবং ভোটার হতে পারবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘করতে পারেন, যদি কমিশন সিদ্ধান্ত নেয়।’
এটা শুধু তারেক রহমানের জন্য প্রযোজ্য কি না? এমন প্রশ্নে ইসি সচিব বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে একজনকে চিহ্নিত করছেন কেন? এটা আপনার ক্ষেত্রেও হতে পারে।’
ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করছি, কাজেই সংশ্লিষ্ট ভোটারের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, পেশা, জন্মতারিখ, তাঁর ভোটার ঠিকানা এবং ছবি—এই সাতটা ফিল্ড এ মুহূর্তে পরিবর্তন করা যাবে না উল্লেখ করে ইসি সচিব বলেন, ‘ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার পর কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে যদি পুনরায় এই সাতটা ফিল্ডেও সংশোধনের প্রস্তাব আমরা বিবেচনা করব। এ মুহূর্তে যেগুলো করা যাবে সেগুলো হচ্ছে—স্বামী বা স্ত্রীর নাম, বৈবাহিক অবস্থা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ধর্ম প্রতিবন্ধকতার ধরন দেখে, টেলিফোন নম্বর।’
ইসি সচিব বলেন, ‘টেলিফোন নম্বরের জন্য অনেকেই সমস্যা পড়ছেন, তারা যে টেলিফোন নম্বর ব্যবহার করেছেন, এনআইডিতে সেই টেলিফোন নম্বর কার্যকর নেই। অনলাইন রিটার্ন জমার কারণে এ জিনিসগুলো সংশোধনের সুযোগ রাখছি। কিন্তু ওই সাতটা ফিল্ডে আমরা এ মুহূর্তে সংশোধনের সুযোগটা দিতে পারছি না। কারণ হচ্ছে, যদি ঠিকানা পরিবর্তন হয় বা নাম পরিবর্তন হয়, তাহলে এটা ভোটার তালিকায় প্রভাব পড়বে। সেজন্য আমরা এ মুহূর্তে এটা করব না।’
ইসি সচিব আরও বলেন, নতুন এনআইডি আপনার নিবন্ধন কার্যক্রম চালু আছে এবং এটা চালু থাকবে। এখানে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। তবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি হবেন বা হয়েছেন তাঁরাই যাঁরা ৩১ অক্টোবর ১৮ বছর পূরণ করেছেন এবং নিবন্ধিত হয়েছেন।
এদিকে পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে প্রবাসীদের ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধনের সময়সীমা ছিল। সেটি বাড়িয়ে ২৫ ডিসেম্বর করা হয়েছে। আর ইন কান্ট্রি পোস্টাল ভোটের (আইসিপিভি) জন্য তফসিল ঘোষণার পর থেকে ১৫ দিন মেয়াদে নিবন্ধন প্রক্রিয়াটা চালু করা হবে।


