সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা মঙ্গলবার , ১০ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৪শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
ডুমুরিয়ায় লাল শাকে লাভবান কৃষক আবু হানিফ মোড়ল | চ্যানেল খুলনা

ডুমুরিয়ায় লাল শাকে লাভবান কৃষক আবু হানিফ মোড়ল

শেখ মাহতাব হোসেন :: ডুমুরিয়ায় লালশাক চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষক আবু‌ হানিফ মোড়ল।
তিনি‌ জমি তৈরি থেকে বীজ রোপণের পর মাত্র ২৫ থেকে ৩০ দিনের মাথায় শাক বিক্রি করতে পারছেন , ফলে অল্প সময় এখন অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তারা। ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, জমি থেকে বিক্রির জন্য রোপিত লালশাক সংগ্রহ করেন কৃষক।

কৃষক আবু হানিফ মোড়ল জানান, লাল শাকের বীজ রোপণ করেন। লালশাক বিক্রির উপযুক্ত হয়েছে। তাই পাইকারের কাছে বিক্রি করেন। পাইকার শ্রমিক নিয়ে জমি থেকে শাক সংগ্রহ করে নিয়েছে। তিনি পাইকারের কাছে ৫৫শতক জমির লালশাক বিক্রি করে ২৮ হাজার টাকা পেয়েছেন। পাইকারি বাজারে প্রতি শাক ৩০/৪০ টাকায় বিক্রি করতে পারছেন। তিনি জানান, শাক নেওয়ার পর ঐ জমি পরিচর্যা করা হচ্ছে। আশা করছি অন্যান্য ফসল লাগিয়ে অধিক ফলন হবে।

এক জমিতে বারোমাস ফসল চাষে পরামর্শ প্রদান করেন উপজেলার খর্নিয়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেন । কৃষক নবদ্বীপ মল্লিক জানান, শুধু আমি নই; এলাকার অন্যান্য চাষিও বারোমাস ফসল চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।

লালশাকের চাষাবাদ নিয়ে কথা হয় ডুমুরিয়া উপজেলার টিপনা গ্রামের বাসিন্দা কৃষক শেখ মনির, আবুল হাসেন, আব্দুল গনি গাজী,ফরাদ সরদার, ওসমান মোল্লার সঙ্গে। তারা জানান, জমিতে লালশাকের চাষাবাদ করে বর্তমানে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া যাচ্ছে। বাজারে লালশাকের চাহিদা রয়েছে। এর চাষাবাদে তেমন একটা সার প্রয়োগ করতে হয় না। তবে জমি প্রস্তুতের সময় শুকনো গোবর দিলে লালশাকের ফলন অধিক হয়। তারা শুধু লালশাক নয়। তারা অন্যান্য শাকসবজিও চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। এখানের মতো জেলার স্থানে স্থানে কৃষক লালশাকের চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।

ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়ার টিপনা কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, লালশাক চাষে তেমন একটা শ্রম দিতে হয় না। জমি প্রস্তুত করে বীজ রোপণ করার ৩০ দিনের মাথায় লালশাক বিক্রি করা যায়। তেমন সারও দিতে হয় না; তবে অধিক বৃষ্টিতে লালশাক চাষে বাধাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া কোনো কারণ নেই। সহজ বলেই স্থানে স্থানে কৃষক লালশাকের চাষ করছেন। লাভবানও হচ্ছেন। তার প্রমাণ কৃষক আবু হানিফ মোড়ল,তিনি ৫৫ শতক জমিতে লালশাকের বীজ রোপণ করেন। লালশাক বিক্রি করেছেন। খিরা গাছ কিছুটা বড় হয়েছে। অল্প দিনের মধ্যে অন্যন্য ফসল উৎপাদন শুরু হবে।

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ মোছাদ্দেক হোসেন বলেন, লালশাক সুস্বাদু ও পুষ্টিকর; তাই ছোট-বড় সবাই এটা খুব পছন্দ করে। যেহেতু এর চাহিদা সবার কাছেই আছে; তাই লালশাক চাষ করে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি অতিরিক্ত উৎপাদন করে ও বাজারে বিক্রির পর বাড়তি আয় করাও সম্ভব।

খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. হাফিজুর রহমান বলেন, লালশাকের অনেক জাত রয়েছে। তবে লাল ও সবুজ শাক নামেই পরিচিত। সবচেয়ে বড় বিষয় মাত্র ২৫ থেকে ৩০ দিনের মাথায় এ শাক বিক্রি করা যায়। জমি তৈরি বাদে বছরে ৮ বার এ শাক চাষ করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, প্রতি বছর ১ বিঘা জমিতে ৪০ হাজার টাকা লাভ করা যায়। পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হলে খরচ কম লাগে। কীটনাশক লাগে না। জমি তৈরির সময় ভালো করে সার দিলে অনেক ভালো হয়। তবে দুই-তিন দিন অন্তর অন্তর পানি দিলে ফলন অধিক হবে। বাজারে লালশাকের চাহিদা রয়েছে। তাই কৃষক লালশাক চাষে মনোযোগী হয়েছেন। অন্যান্য জেলার মতো খুলনা জেলা জুড়ে বারোমাস লালশাক চাষ হচ্ছে। বিশেষ করে ডুমুরিয়াতে।

https://channelkhulna.tv/

কৃষি ভাবনা আরও সংবাদ

তরুণদের প্রযুক্তিতে আগ্রহী হওয়ার আহ্বান ডা. জোবাইদার

ডুমুরিয়ায় তিলের ভালো ফলন: চাষি মুখে হাসি

ডুমুরিয়ায় বিষমুক্ত সবজি চাষে কৃষকেরা দেখছেন সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ

ডুমুরিয়া উপজেলায় বোরো ধান কাটার ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা

ফকিরহাটে বানিজ্যিকভাবে ব্রি ধান-১০২ চাষে সফলতা পেয়েছে কৃষক

যে ফলগুলো খেলে গরমে আপনার চুল ভালো থাকবে

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ ৫ কেডিএ বানিজ্যিক এলাকা, আপার যশোর রোড, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।