জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ছিল নতুন বাংলাদেশ গড়ার একটি স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ছিল চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে, লগি-বইঠার বিরুদ্ধে একটি আন্দোলন। কিন্তু আজ দেশে আবার নতুন করে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য দেখা যাচ্ছে। আমরা যখন খুলনায় পদযাত্রা নিয়ে আসছি, তখন রাজধানী ঢাকায় চাঁদার দাবিতে ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে।’ শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে নগরীর শিববাড়ী মোড়ে পথসভায় বক্তব্যকালে নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, এমন প্রত্যাশা নিয়ে জুলাই আন্দোলন হয়নি। সুতরাং জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ছিল নতুন বাংলাদেশ গড়ার একটি স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
নাহিদ আরও বলেন, মিল-কলকারখানা বন্ধ করে আওয়ামী লীগ খুলনা শিল্পনগরীর ঐতিহ্য ধ্বংস করেছিল। সুন্দরবন ধ্বংসের জন্য রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র করেছিল। এসবের বিরুদ্ধে আবারও সোচ্চার হতে হবে। শিল্প গড়তে হবে, সুন্দরবন রক্ষা করতে হবে। চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে আবারও প্রস্তুতি নিতে হবে আন্দোলনের। তিনি আগামী ৩ আগস্ট ঢাকায় জুলাই ঘোষণাপত্র অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য খুলনাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
যশোর থেকে সড়কপথে পদযাত্রাসহকারে নাহিদ ইসলামসহ এনসিপি নেতারা সন্ধ্যায় খুলনায় পৌঁছেন। মাগরিবের পর শুরু হওয়া এ পথসভা শেষ হয় রাত পৌনে ৯টায়। এ সময় এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তৃতা করেন।
মঞ্চে ছিলেন, জুলাই শহীদদের পরিবারের সদস্যরা। পথসভা হলেও মূলত সেটি একটি সমাবেশে রূপ নেয়। পথসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, তাসনিম জারা, হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, নুসরাত তাবাসসুমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় পদযাত্রাসহকারে এনসিপি নেতারা খুলনার শিববাড়ী মোড়ের হোটেল টাইগার গার্ডেনে পৌঁছান। সেখান থেকে মাগরিব বাদ পথসভার মঞ্চে পৌঁছালে জাতীয় পতাকা ও ফুল দিয়ে তাঁদের স্বাগত জানানো হয়।
শিববাড়ীর পথসভা রূপ নেয় সমাবেশে। পরে নেতারা শিল্পাঞ্চল খালিশপুরের পিপলস্ গোল চত্বরে যান এবং সেখানে অপর একটি সমাবেশে যোগ দেন। রাতে জুলাই শহীদ সাকিব রায়হানের বাবা-মায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে এনসিপি নেতাদের।