
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী এখন সাধারণ জনতার একমাত্র ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছে। জনগণের কাছে পরিষ্কার জামায়াতে ইসলামী হচ্ছে একমাত্র রাজনৈতিক দল যাদের মধ্যে নেই কোনো জুলুম, চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্ব। জামায়াতে ইসলামী দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে মানুষ নিরাপদে থাকবে, মানুষ এটি বুঝতে শুরু করেছে। মানুষ তাদের হারিয়ে যাওয়া ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে। জনসাধারণের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে। আমরা জনগণের পাশে থেকে সমাজে সভ্যতা ফিরে আনবো। সমাজের মা বোনের নির্বিঘেœ থাকতে পারবে এমন একটি সমাজ গড়ে তুলবো। তিনি বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দিয়ে ন্যায় এবং ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ, রাষ্ট্র কায়েম করবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। কেউ যদি ভোট সেন্টার দখল করতে চায় আমরা তা প্রতিহত করব। আমরা ভোট সেন্টার দখল করবো না, জাল ভোট দেব না, ভোট সেন্টার দখল হতে দেবো না, জাল ভোট দিতে দেবো না। আমরা এগুলোকে কঠোর হস্তে প্রতিহত করব ইনশাআল্লাহ। শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাতে খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানার ১০ নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর নয়াবাটি কাউন্সিলর কার্যালয় মোড়ে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
১০ নং ওয়ার্ড আমীর গাজী দেলোয়ার হোসেন এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি বিপ্লব হোসেন বাবুর পরিচালনায় বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য মুকাররম বিল্লাহ আনসারী, খালিশপুর থানা আমীর মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের খুলনা মহানগরী সেক্রেটারি রাকিব হাসান, ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা বিশিষ্ট সমাজসেবক মুনসুরুল আলম চৌধুরী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন মহানগরী সহ সভাপতি মাহফুজুর রহমান, জামায়াত নেতা হামিদুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, মাওলানা ইমরান হুসাইন তুহিন, মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, খান আমানুল্লাহ রাজা, কাওসার আমীন, জি এম আব্দুল্লাহ, সাইদুর রহমান, ছাত্রশিবির নেতা মিসবাহ, আল আমীন, মুহতারাম, শ্রমিকনেতা মুহিব্বুর রসুল, বুলবুল কবির, শহিদুল ইসলাম, বদরুর রশিদ মিন্টু, ইমদাদুল, হেলাল, মোখলেসুর রহমান, সাইদুর রহমান, নাসিরুদ্দীন, আসাদুজ্জামান, আব্দুল বারী, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
খুলনা-৩ আসনের এই এমপি প্রার্থী আরও বলেন, ভারতের বেশ কয়েকটি পরিকল্পনায় ছিল। তাদের সর্বপ্রথম পরিকল্পনা ছিল জামায়াতে ইসলামীকে এ দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া। এ পরিকল্পনায় তারা সফল হতে পারেনি। পরে জামায়াত নেতাকে হত্যার মাধ্যমে জামায়াতকে দুর্বল করতে চেয়েছে। এই পরিকল্পনাও তারা সফল হয়নি। আমাদের নেতা শাহাদাতের পথ বেছে নিয়ে এই জমিনকে ইসলামের জন্য উর্বর করে গেছেন। তাদের আরেকটি পরিকল্পনা ছিল এ দেশের সীমান্তকে দুর্বল করা। বিডিআর বিদ্রোহের মাধ্যমে এই দেশের দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনীর অফিসারদের হত্যা করে তারা সেই পরিকল্পনায় যথেষ্ট সফল হয়েছে। আমরা ২৮ অক্টোবরের খুনি ও বিডিআর বিদ্রোহ, ৫ মে শাপলা চত্বরে ও ৩৬ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যার হোতাদের বিচার দাবি করছি।


