
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে দুদক ও স্বাস্থ্য বিভাগের তদন্ত
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ে জনবল নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও স্বাস্থ্য বিভাগ। অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল থেকে দুদক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পৃথক টিম মাঠে নামে।
সোমবার সকাল ১১টার দিকে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কুষ্টিয়ার উপ-পরিচালক মইনুল আহসান রওশনীর নেতৃত্বে একটি টিম সিভিল সার্জন অফিসে যায়। পরে দুপুর ১২টার দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত কার্যক্রমে অংশ নেয়।
এসময় উভয় টিম সিভিল সার্জন ডা. শেখ মো. কামাল হোসেন, কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. হোসেন ইমামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। দুদকের টিম নিয়োগ পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই কর্মকর্তার মোবাইল ফোন জব্দ করে এবং বিভিন্ন নথিপত্র যাচাই বাছাই করে।
অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত ভিডিও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। ঘটনার মধ্যে কিছু অনিয়মের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
দুদকের উপপরিচালক মইনুল আহসান রওশনী বলেন, প্রাথমিকভাবে দুজন কর্মকর্তার মোবাইল জব্দ করা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য ও নথি পর্যালোচনা চলছে।
তবে আরএমও ডা. হোসেন ইমাম আবারও অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আসলে আমার এই ঘটনার সঙ্গে কোনো কোন যোগ সাজস নেই।
তদন্ত টিমের সঙ্গে কথা বলার পর তিনি সিভিল সার্জন কার্যালয় ত্যাগের চেষ্টা করলে উপস্থিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা ক্ষোভ প্রকাশ করে। এসময় কেউ কেউ তাকে লক্ষ্য করে ডিম ছোড়ে। পরে তিনি হামলার মুখে সিভিল সার্জন অফিসে ফিরে আশ্রয় নেন। পরবর্তীতে প্রশাসনের সহযোগিতায় সিভিল সার্জন অফিস ত্যাগ করেন।


