
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত ৩ দিনব্যাপী “৭ম ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ইলেকট্রিক্যাল ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (ইআইসিটি ২০২৫)’ এর সমাপনী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গেস্ট হাউজে শিক্ষক মিলনায়তনে আয়োজিত জমকালো সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (ইন্টারগভর্নমেন্টাল অর্গানাইজেশনস অ্যান্ড কনস্যুলার অ্যাফেয়ার্স) এম. ফরহাদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে চিফ প্যাট্রন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মাকসুদ হেলালী। ইআইসিটি-২০২৫ এর কনফারেন্স চেয়ার এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি, দেশি-বিদেশি গবেষক এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষক ও প্রকৌশলীবৃন্দ ইলেকট্রিক্যাল, ইনফরমেশন এবং কমিউনিকেশন টেকনোলজির সাম্প্রতিক উন্নয়ন ও চ্যালেঞ্জসমূহ নিয়ে তাদের গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। এবারের আয়োজনে টেকনিক্যাল কো-স্পন্সর হিসেবে ছিল আন্তর্জাতিক সংগঠন ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স (আইইইই)।
সমাপনী অধিবেশনে বক্তারা বলেন, এ ধরণের আন্তর্জাতিক সম্মেলন জ্ঞান বিনিময় এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারী সেরা গবেষণাপত্রগুলোর জন্য গবেষকদের ফাতেমা রশিদ ও আইইইই বেস্ট পেপার অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্গানাইজিং চেয়ার প্রফেসর ড. কাজী মোঃ রকিবুল আলম, পাবলিকেশন চেয়ার অধ্যাপক ড. মনির হোসেন, টিপিসি চেয়ার প্রফেসর ড. মুহাঃ রফিকুল ইসলাম এবং টিপিসি সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. এ. বি. এম. আওলাদ হোসেন। ১৮ থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ইলেকট্রিক্যাল ও আইসিটি খাতের আধুনিক গবেষণা, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা আলোচনা করেন। ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স (আইইইই)-এর সহযোগিতায় আয়োজিত এই সম্মেলনে দেশ-বিদেশের কয়েকশ গবেষক তাদের গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন।
তিন দিনব্যাপী সম্মেলনে বিশ্বের ১৫ টি দেশ থেকে ১০৪২ টি টেকনিক্যাল পেপার থেকে বাছাইকৃত ১৪২ টি টেকনিক্যাল পেপার মোট ২৫ টি টেকনিক্যাল সেশনে উপস্থাপন করা হয়। সম্মেলনে আমেরিকা, ফ্রান্স, জাপান, কানাডা, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ভারত ও বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশের গবেষক, শিক্ষক, স্বনামধন্য প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদগণ সহ অন্যান্যরা অংশগ্রহন করেন।


