
মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, গণমাধ্যমের ওপর হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও জনগণের জানার অধিকারের ওপর সরাসরি আঘাত। গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করে কখনো আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায় না। অতীতের ফ্যাসিবাদী শাসনামলেও সংবাদমাধ্যমের ওপর দমন-পীড়ন চালানো হয়েছিল। হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের পরেও যদি গণমাধ্যমের ওপর আঘাত অব্যাহত থাকে, তাহলে জনগণ আস্থা রাখবে কোথায় এ প্রশ্নও তোলেন তাঁরা। এ ধরনের হামলাকে সুস্থ রাজনীতির অন্তরায় উল্লেখ করে নেতারা বলেন, এমইউজে খুলনা শুরু থেকেই স্বাধীন ও মুক্ত গণমাধ্যমের পক্ষে লড়াই করে আসছে। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, পরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যেই প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে ন্যক্কারজনক হামলা চালানো হয়েছে। একই সঙ্গে ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলাকে একটি বিশেষ মহলের সুপরিকল্পিত এজেন্ডার অংশ বলে মনে করেন নেতৃবৃন্দ। সাংবাদিক নেতারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে খুলনা প্রেসক্লাবস্থ ইউনিয়ন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান।
ইউনিয়নের সভাপতি মো. রাশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রানার পরিচালনায় বক্তৃতা করেন সহ-সভাপতি মো. নূরুজ্জামান, সহ-সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম নূর, কোষাধ্যক্ষ মো. রকিবুল ইসলাম মতি, নির্বাহী সদস্য মো. এরশাদ আলী ও কে এম জিয়াউস সাদাত। পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সভা শুরু হয়।
সভায় ইউনিয়নকে গতিশীল করতে খুলনা মহানগরীতে কর্মরত সাংবাদিকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৩০ জনকে সদস্য পদ প্রদান করা হয়েছে। তারা হলেন-আব্দুল্লাহ আল মামুন রুবেল (সময় টিভি), মোহাম্মদ মিলন (খুলনা গেজেট), শেখ শামসুদ্দিন দোহা ( দৈনিক নয়া দিগন্ত), বশির হোসেন (দৈনিক কালবেলা), আরাফাত হোসেন অনিক (ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন), রবিউল গাজী উজ্জ্বল (দৈনিক সময়ের খবর), এস এম ইয়াসিন আরাফাত রুমি (দীপ্ত টেলিভিশন), এম এ আজিম (দৈনিক প্রবাহ), এস এম আমিনুল ইসলাম (দৈনিক দেশ রূপান্তর), হাবিবুল্লাহ শেখ সাকিল (চ্যানেল আই), আয়েশা আক্তার জ্যোতি (খুলনা গেজেট), বেল্লাল হোসেন সজল (চ্যানেল ২৪), কামাল হোসেন (বাংলাদেশ বেতার), মো. রাসেল ইসলাম গাজী ( দৈনিক আমার একুশ), শেখ ফেরদৌস রহমান (দৈনিক প্রবাহ), নুরুল আমিন নুর (বাংলাদেশ বেতার), মাসুম বিল্লাহ ইমরান (নিউ নেশন), তানভীর ইসলাম প্রান্ত (এস এ টিভি), ওবায়দুর রহমান পলাশ (স্টার নিউজ), রামিম চৌধুরী (এখন টিভি), সৈয়দ হুমায়ুন কবির রানা (দৈনিক খুলনাঞ্চল), মো. রাজু আহমেদ ( দৈনিক গ্রামের কাগজ), মো. এম এ সাদী (দৈনিক সময়ের খবর), মো. কায়কোবাদ মোল্লা বুলবুল (দৈনিক প্রবাহ), মো. আবুল হাসান চৌধুরী (দৈনিক পূর্বাঞ্চল), মো. মোজাহিদুর রহমান (দৈনিক খুলনাঞ্চল), মো. আব্দুল হালিম (সময় টিভি), উম্মে উমামা (ভয়েজ অব টাইগার), রমজান হোসেন জুয়েল (একুশে টেলিভিশন) ও মো. শাহ আলম (দৈনিক অনির্বাণ)।


