সন্তান লালন পালনে মা-বাবাদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হয় না। সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করার অদম্য আগ্রহ, আন্তরিকতা ও প্রাণান্তকর প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমাজকে আলোকিত করতে পারে। প্রতিটি মানুষের জীবনের প্রথম শিক্ষক হচ্ছেন মা-বাবা। শিশু জন্ম নেয়ার পর থেকেই মা-বাবার কাছ থেকে শিখে, এরপর বিদ্যালয়েই তার প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালাভ শুরু হয়। শিক্ষা হলো ব্যক্তির আচরণের কাঙ্খিত পরিবর্তন, পরিমার্জন, পরিবর্ধন ও উন্নয়ন যা জ্ঞান, দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। ব্যক্তির আচরণের সর্বাঙ্গীন বিকাশ ও ইতিবাচক পরিবর্তন সাধন করাই শিক্ষার মূল কাজ। এভাবে বললেন জনউদ্যোগ খুলনার আলোচনা সভায় বক্তারা।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় জনউদ্যোগ খুলনার আয়োজনে পূর্ব বানিয়াখামার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সেমিনার কক্ষে ‘প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে পরিবারই প্রথম বিদ্যালয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন পূর্ব বানিয়াখামার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার মন্ডল। মূখ্য আলোচক ছিলেন জনউদ্যোগ খুলনার আহবায়ক শিক্ষকনেতা মানস রায়। অতিথি ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত উপাধক্ষ্য দেবদাস মন্ডল ও অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সওকত আলী শেখ। অন্যান্যদেও মধ্যে বক্তব্য রাখেন নাসরিন জাহান,সুফিয়া বেগম, বর্ণী দে , রুমানা আক্তার, আফরোজা সুলতানা, সৈয়দা আলীজা মমতাজ, দিলরুবা ইয়াসমীন, জবা রানী বালা, মারিশা নগসীন, সিরাজুম মুনরিা পান্না, পলি সেন প্রমুখ।
সঞ্চালনা করেন জনউদ্যোগ খুলনার সদস্য সচিব সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন।
বক্তারা বলেন, উন্নত সমৃদ্ধ ও স্মার্ট জাতির ব্যবহার ও আত্মমর্যাদা পৃথিবীর প্রাচীনতম শিক্ষাঙ্গন পরিবার থেকেই মানুষ পেয়ে থাকে। অভিভাবকদের উচিত তাদের সন্তানকে শৈশব থেকেই শিল্প সংস্কৃতি, সাহিত্য ঐতিহ্যজ্ঞান সম্পন্ন, বিজ্ঞান মনস্ক ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে আগ্রহী, দক্ষ ও স্মার্ট করে তোলা।
বক্তারা আলো বলেন, শারীরিক ও মানসিকভাবে সুসংগঠিত করে সুনাগরিক সৃষ্টি এবং প্রগতিশীল ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে সব শিশুর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। প্রাথমিক শিক্ষার মূল কাজ হলো শিশুর সহজাত সক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করে জ্ঞানভিত্তিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, আবেগীয় ও শারীরিক দক্ষতা বৃদ্ধি করা। আর এই প্রাথমিক শিক্ষা শিশু অভিভাবক এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের কাছেই প্রথম শুরু করে।
বক্তারা বলেন, জাতীয় উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন ও গতিশীল সমাজ গঠনে সময়োপযোগী গুণগত প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন ও আধুনিকায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন স্মার্ট অভিভাবকরা। আদর্শ অভিভাবক শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই পড়ার পাশাপাশি তাদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর মনমানসিকতা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।