রিয়াদ হোসেন :: করোনার মধ্যেও ছুটে চলেছেন একদল তরুণ। সেবার ব্রতে কাঁধে অক্সিজেন সিলেন্ডার, মুখে মাক্স, হাতে গ্লাভস পরিহিত এ মানুষগুলোকে আমরা স্বেচ্ছাসেবক নামেই কমবেশি জানি। এদের কাজই হলো স্বেচ্ছায় শ্রম দেওয়া। কখনও অসুস্থ মানুষের সেবা দিয়ে কখনও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েই তাদের আত্মতৃপ্তি। বর্তমান দেশে করোনায় বেড়েছে মৃত্যুর হার , থেমে নেই সংক্রমন। উদিত নতুন সূর্যে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত রুগির সংখ্যা। বিভীষিকাময় এই মুহুর্তে সংকটের মুখে অক্সিজেন।
ঠিক এমনি এক ক্রান্তিকালে এগিয়ে এসেছে কিছু মহৎ মানুষ। খেশরা ইউনিয়নের কিছু প্রতিথযশা চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে ‘ইমারজেন্সি কোভিড-১৯ এইড সার্ভিস’ খেশরা, তালা, সাতক্ষীরা। প্রতিষ্ঠানটি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নব্যাপী করোনায় আক্রান্ত মানুষের অক্সিজেন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কাজ করে চলেছে। জরুরি মুহূর্তে দোরগোড়ায় অক্সিজেন সেবা পৌঁছে দিতে এবং টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে করোনা উপসর্গ ব্যক্তিদের প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতেই মুলত এই সংগঠনটি যাত্রা শুরু করেছে।
খেশরা ইউনিয়নের সুনামধন্য চিকিৎসক ডাঃ পরিমল কুমার সেন, ডাঃ তরুণ কুমার রায়, ডাঃ মো. আব্দুস সালাম,ডাঃ এস এম হুমায়ুন কবির অপু,ডাঃ মো. শাহেদুজ্জামান অপু, ডাঃ মো. সুমন হোসেন এবং ডাঃ মো. আলতাফ হোসেনের সার্বিক সহযোগীতায় কাজ করে যাচ্ছে একদল তরুণ স্বেচ্ছাসেবক।
ইউনিয়নে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির অক্সিজেনের প্রয়োজনে রাত দিন ছুটে চলেছে সুজায়েত হোসেন, তানভীর হোসেন, শাহিন আলম, মো. মোখলেসুর রহমান, শেখ মেজবাহুর রহমান নাহিদ, সুমন গোলদার, আজমীর হোসেন, আল-মাসুদ হাসান, শাহিন রনি, মেহেদী হাসান, নুরুল আলম, সাব্বির হোসেন, খালিদ হাসান, এসকে সুমন হোসেন, ইমরান হোসেন, তানবীর হোসেনসহ একঝাঁক তরুণ প্রজন্মের স্বেচ্ছাসেবকরা। সেবার কাছে রাত-দিন উপেক্ষিত এসব তরুণদের কাছে। ২৪ ঘন্টা সার্ভিস দিয়ে সংকটপূর্ণ সময়ে করোনা আক্রান্ত রুগির অক্সিজেন পরিসেবা দিয়ে পাশে তারা। ইউনিয়নে এধরনের উদ্যোগ একদিকে যেমন আক্রান্ত মানুষকে সুস্থ করে তুলেছে অন্যদিকে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।


