সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা শুক্রবার , ১৫ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ৩১শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সৈয়দ আবুল মকসুদ আর নেই | চ্যানেল খুলনা

সৈয়দ আবুল মকসুদ আর নেই

বাংলাদেশের খ্যাতিমান কলামিস্ট, গবেষক, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক ও লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ আর নেই। মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তিনি রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

স্কয়ার হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগ মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সন্ধ্যা ৬টা ৯ মিনিটে তিনি মারা যান।

সৈয়দ আবুল মকসুদের জন্ম ১৯৪৬ সালের ২৩ অক্টোবর। তিনি তার গবেষণাধর্মী প্রবন্ধের জন্য সুপরিচিত। তার প্রবন্ধসমূহ দেশের রাজনীতি, সমাজ, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয়। তিনি বিখ্যাত সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদদের জীবনী ও কর্ম নিয়ে গবেষণামূলক প্রবন্ধ লিখেছেন। পাশাপাশি কাব্যচর্চাও করেছেন। তার রচিত বইয়ের সংখ্যা চল্লিশের ওপর। জার্নাল অব জার্মানি তার লেখা ভ্রমণকাহিনী। বাংলা সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য তিনি ১৯৯৫ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।

এদিকে তার মৃত্যুতে অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার বিশিষ্টজনেরা শোক প্রকাশ করেছেন।

জানা গেছে, সৈয়দ আবুল মকসুদ ১৯৪৬ সালের ২৩ অক্টোবর মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার এলাচিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সৈয়দ আবুল মাহমুদ ও মা সালেহা বেগম। তার জন্মের দুই বছর পর ১৯৪৮ সালের ২০ নভেম্বর তার মা সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান। তার মায়ের মৃত্যুর পর তার বিমাতা বেগম রোকেয়া আখতার তাকে সন্তান স্নেহে লালনপালন করেন। তার বাবা কাব্যচর্চা করতেন। তাই শৈশব থেকে তিনি দেশি বিদেশি বিভিন্ন পত্রিকা পড়ার সুযোগ পান।

আবুল মকসুদের শিক্ষাজীবনের হাতেখড়ি হয় নিজ বাড়িতে। এরপর তিনি ঝিটকা আনন্দমোহন হাই স্কুলে একেবারে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হন। পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এ পড়াশুনা করেছেন।

কর্মজীবন
তার কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৬৪ সালে এম আনিসুজ্জামান সম্পাদিত সাপ্তাহিক নবযুগ পত্রিকায় সাংবাদিকতার মাধ্যমে। এটি ছিল পাকিস্তান সোস্যালিস্ট পার্টির মুখপত্র। পরে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি সমর্থিত সাপ্তাহিক ‘জনতা’য় কাজ করেন কিছুদিন। পরে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ বার্তা সংস্থায় যোগ দেন। ২০০৮ সালের ২ মার্চ বার্তা সংস্থার সম্পাদকীয় বিভাগের চাকরি ছেড়ে দেন।

সাহিত্যিক জীবন
সৈয়দ আবুল মকসুদের সাহিত্যচর্চা শুরু হয় ষাটের দশকে কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধ দিয়ে। তখন তিনি বিভিন্ন পত্রিকায় লিখতেন। ১৯৮১ সালে তার কবিতার বই বিকেলবেলা প্রকাশিত হয়। ১৯৮৭ সালে তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ দারা শিকোহ ও অন্যান্য কবিতা প্রকাশিত হয়। মানবাধিকার, পরিবেশ, সমাজ ও প্রেম নিয়ে তিনি কবিতা লিখেছেন। তিনি বাংলা সাহিত্যের ক্ল্যাসিকধর্মী গবেষকদের মধ্যে অন্যতম।

তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বুদ্ধদেব বসু, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী প্রমুখ প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদদের জীবনী ও কর্ম নিয়ে গবেষণা করেছেন। আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে নিয়ে তিনি লিখেছেন মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাষানীর জীবন, কর্মকাণ্ড, রাজনীতি ও দর্শন (১৯৮৬) ও ভাসানী কাহিনী (২০১৩)। ভাসানী কাহিনীতে তিনি ভাসানীর বৈচিত্র্যময় ও ঘটনাবহুল দীর্ঘ জীবন এবং তার রাজনৈতিক দর্শন বর্ণনা করেছেন।

সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহকে নিয়ে লিখেছেন সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর জীবন ও সাহিত্য (২০১১) ও স্মৃতিতে ওয়ালীউল্লাহ (২০১৪)। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর জীবন ও সাহিত্য গ্রন্থে তিনি সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর জীবন ও তার সাহিত্যকর্ম নিয়ে লিখেছেন। এছাড়া তৎকালীন সময়ের সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক দিকগুলো তুলে ধরেছেন। স্মৃতিতে ওয়ালীউল্লাহ গ্রন্থে তিনি তাকে চিনতেন এবং জানতেন এমন সব মানুষদের কাছ থেকে নানা উপাদান সংগ্রহ করেছেন। তথ্য সংগ্রহের জন্য তিনি ফ্রান্সের প্যারিসে ইউনেস্কোর সদর দপ্তরে এবং পাকিস্তানে গিয়েছিলেন।

আবুল মকসুদের স্ত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। কিছুদিন শিক্ষকতা করেছেন অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজে। তাদের দুই সন্তান। মেয়ে জিহান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে অনার্স ও মাস্টার্স করে ব্যাংকে চাকরি করছেন। ছেলে নাসিফ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স করে দুই বছর ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি এবং স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পড়িয়েছেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে এমবিএ করে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডে সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার হিসেবে চাকরি করছেন।

https://channelkhulna.tv/

জাতীয় আরও সংবাদ

১২৮ জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল করেছে সরকার

ডিসেম্বরের মধ্যে পর্যাপ্ত ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’ কিনতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

এনসিপিকে ‘শাপলা’ না দেওয়ার ব্যাখ্যা আইনজ্ঞের কাছে জেনে নিতে বললেন ইসি সচিব

বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড তদন্তে চার দেশের বিশেষজ্ঞ আনা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

শেখ হাসিনা পালিয়ে যাননি, যেতে বাধ্য হয়েছিলেন: আইনজীবী

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ ৫ কেডিএ বানিজ্যিক এলাকা, আপার যশোর রোড, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।