
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ তোলেন। তিনি দাবি করেন, প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক পক্ষ ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দিতে পারে। একটি দল চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজির টাকা ব্যবহার করে ভোট কেনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সাম্প্রতিক সহিংসতা ও দলীয় অন্তর্কোন্দলে দেশে ইতোমধ্যে ২০০ এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, প্রশাসন “শক্তিশালী পক্ষের দিকে ঝুঁকে পড়ছে”, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য হুমকি। একই সঙ্গে মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ এনে তিনি বলেন, ভিন্নমতের সংবাদ প্রকাশে চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সত্য প্রকাশের বড় শক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংকিং খাতে ঋণখেলাপি, সিন্ডিকেট ও দুর্নীতির বিষয়েও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং জামায়াতে ইসলামী দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে এ সব সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দেন। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন সম্পন্নের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেন তিনি।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর যুব ও ক্রীড়া বিভাগের উদ্যোগে আন্ত:ওয়ার্ড ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন। গত ১ নভেম্বর থেকে ৫৪ টি দলে বিভক্ত হয়ে খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট এ টুর্ণামেন্টে অংশ গ্রহণ করেন। ফাইনাল খেলায় দৌলতপুর থানার ১ নং ওয়ার্ড ও খালিশপুর থানার ৯ নং ওয়ার্ড মুখোমুখি হয়। খালিশপুর ৯ নং ওয়ার্ড টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। দৌলতপুর থানার ১ নং ওয়ার্ড ১২ ওভারে সবক’টি উইকেট হারিয়ে ৯৭ রান করেন। জবাবে খালিশপুর থানার ১ নং ওয়ার্ড মাত্র একটি উইকেট হারিয়ে ৯৮ রান করে ৯ উইকেটে জয়লাভ করেন। বিজয়ী দলকে নগদ ১৫ হাজার টাকা ও চ্যাম্পিয়ন ট্রফি এবং রানার আপ দলকে নগদ ১০ হাজার টাকা ও রানার আপ ট্রফি তুলে দেয়া হয়। আর ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন খালিশপুর দলের নাহিদ। সকল খেলোয়াড়কে মেডেল পরিয়ে দেওয়া হয়।
যুববিভাগের মহানগরী সভাপতি মুকাররম আনসারীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি হামিদুল ইসলাম খানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল। অন্যান্যের মধ্যে মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম ও আজিজুল ইসলাম ফারাজী, অফিস সেক্রেটারি মিম মিরাজ হোসাইন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের মহানগরী সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন ও সেক্রেটারি রাকিব হাসান, কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা শাহারুল ইসলাম, আ স ম মামুন শাহীন, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, খুলনা সদর আমীর এস এম হাফিজুর রহমান, খালিশপুর থানা আমীর আব্দুল্লাহ আল মামুন, দৌলতপুর থানা আমীর মোশাররফ আনসারী, আড়ংঘাটা থানা আমীর মনোয়ার আনসারী, সদর থানা সেক্রেটারি আব্দুস সালাম, সোনাডাঙ্গা থানা সেক্রেটারি জাহিদুর রহমান নাঈম, শ্রমিক নেতা এস এম মাহফুজুর রহমান, মাওলানা মনিরুজ্জামান, রবিউল ইসলাম ফয়সাল প্রমুখ। খালিশপুর খালিশপুর থানার ৯ নং ওয়ার্ড টিম অধিনায়ক সাদ। আর টিমে ছিলেন কিম, সালাসী দিপু, রাফিন, রানা, রাফি, বাপ্পী, মুন্না, রাকিব, রাজু, রাহাত, শাফিন, মাহিন ও জুম্মান। আর দৌলতপুর থানার ১ নং ওয়ার্ড টিম অধিনায়ক আলমগীর। আর টিমে ছিলেন আব্দুল্লাহ, নাহিদ, নইম, সাগর, সুমন, সুলতান, সাকিব, তন্ময়, সোহান, মামুন, মুয়াজ, আশিক ও তামিম।
বিশেষ অতিথি মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান যুব সমাজকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ রাখা এবং মাদক, সন্ত্রাস থেকে দূরে রাখতে নিয়মিত খেলাধুলার আয়োজন করা দরকার উল্লেখ করে বলেন, জামায়াতে ইসলামীর খুলনা মহানগরী যুব বিভাগ সকল যুবকদেরকে সঙ্গে নিয়ে এই সমাজটাকে একটি আদর্শ, মাদকমুক্ত, চাঁদাবাজমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত সমাজে পরিণত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি দেশ ও জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে যুব সমাজকে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনের আহবান জানান।


