মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার সিনিয়র সদস্য দৈনিক খুলনাঞ্চল সম্পাদক ও প্রকাশক মো. মিজানুর রহমান মিলটনের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি নানান বানোয়াট কল্পকাহিনী সাজিয়ে অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনা ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিক নেতা মো. মিজানুর রহমান মিলটনের বিভিন্ন সময়ের পুরাতন ছবি ব্যবহার করে চরম মিথ্যা-বানোয়াট কুৎসিত ও চরম কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য জড়িয়ে ভাচ্যুয়ালি অপপ্রচারের মাধ্যমে তার সুনাম ক্ষুন্ন করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে একটি দুষ্কৃতিকারী মহল। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে খুলনা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছেন তিনি। তবুও পুলিশ প্রশাসন দৃশ্যমান কোনো আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন নেতৃবৃন্দ। অবিলম্বে অপপ্রচারকারী দুষ্কৃতিকারীদের চিহ্নিত ও আইনের আওতায় এনে গ্রেফতার করে নেতৃবৃন্দ দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির জোর দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ফ্যাসিবাদী পরাজিত শক্তি জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ^াসীদের ঐক্যবিনষ্ট করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে। দীর্ঘ ১৬ বছরের অচলাবস্থা নিরসনে এমইউজে খুলনার দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিলটন অসামান্য সাহসিক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। এছাড়া ২০২৪ সালের ৪ ও ৫ আগস্ট বিক্ষুব্ধদের অগ্নিকান্ডে ভষ্মিভূত ও ধ্বংস্তুপ খুলনা প্রেসক্লাব বিনির্মাণ ও নেতৃত্বের পুনর্গঠনে অন্তর্বতীকালীন কমিটির নির্বাহী সদস্য হিসেবে ফ্যাসিবাদীদের বিরুদ্ধে দুঃসাহসিক ভূমিকা রাখছেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে একটি স্বার্থন্বেষী ফ্যাসিবাদের দোসররা মিজানুর রহমান মিলটনের বিরুদ্ধে নানামূখী ষড়যন্ত্র করছে। অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এসব অপপ্রচারকারীদের চিহ্নিত করে সাধারণ ডায়েরিটি নিয়মিত মামলায় রূপ দিয়ে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা। একই সাথে নৌকা প্রতীকে একাধিকবার নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী, নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনাকারী এবং গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন প্রচেষ্টাকারীদের গ্রেফতারের জোর দাবি জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিদাতারা হলেন ইউনিয়নের সভাপতি মো. রাশিদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মো. নূরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রানা, সহ-সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম নূর, কোষাধ্যক্ষ মো. রকিবুল ইসলাম মতি, নির্বাহী সদস্য মো. এরশাদ আলী ও কে এম জিয়াউস সাদাত। অনুরূপ বিবৃতি দিয়েছেন বিএফইউজের সহকারী মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন, সাবেক সহ-সভাপতি ড. মো. জাকির হোসেন ও আবু তৈয়ব, সাবেক নির্বাহী সদস্য শেখ দিদারুল আলম ও এইচ এম আলাউদ্দিন।


