
প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট থেকে আপাতত দূরে প্যাট কামিন্স। জুলাইয়ে জ্যামাইকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টের পর আর তাঁর মাঠেই নামা হয়নি। এরই মধ্যে তিনি চমকে দেওয়ার মতো এক কাজ করলেন। প্রায় ২০০ কোটি টাকায় ১৩৭ বছরের পুরোনো একটি বাড়ি কিনলেন অস্ট্রেলিয়ার এই তারকা পেসার।
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের রাজধানী শহর সিডনিতে ১ কোটি ৬০ লাখ ডলারে বিলাসবহুল এক ম্যানশন কিনলেন কামিন্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ১৯৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা। শহরের উপকূলঘেঁষা ব্রন্ট এলাকায় অবস্থিত এই ম্যানশন তৈরি হয়েছিল ১৮৮৮ সালে। দোতলা এ বাড়ির আয়তন ৭৩০ বর্গমিটার। অভিজাত এই ম্যানশনে পাঁচটি বেডরুম ও চারটি বাথরুম আছে।
কামিন্স যে ভিক্টোরিয়ান ব্র্যান্ডের ম্যানশন কিনেছেন, সেটার বিক্রেতা ওয়েভারলি কাউন্সিলের সদস্য কেরি স্পুনার। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ত্রিশ বছর ধরে তিনি ও তাঁর প্রয়াত স্বামী ব্রায়ান ও’নিল এ বাড়ির মালিক ছিলেন। দলিলপত্র ঘেঁটে জানা গেছে এসব তথ্য। ১৯৯৬ সালে তাঁদের কেনার সময় দাম ছিল মাত্র ৯ লাখ ৯০ হাজার ডলার। ২৯ বছরে বাড়ির দাম বেড়েছে ১৬ দশমিক ১৬ গুণ।
সিডনির অভিজাত ব্রন্ট এলাকায় ভিক্টোরিয়ান ঐতিহ্যের এই বাড়ি বেছে নেওয়ার পেছনে প্যাট কামিন্সের স্ত্রী বেকি বস্টনের অবদানই যে বেশি, সেটা না বললেও চলছে। বস্টন পেশায় একজন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার। এমন চিন্তাভাবনা তো তাঁর মাথা থেকেই আসবে। তা ছাড়া কামিন্সের পরিবারে সদস্য বেড়েছে এখন। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে কামিন্স দম্পতির ঘর আলো করে আসে মেয়ে এডি। এর আগে ২০২১ সালে ছেলেসন্তানের জন্ম দেন কামিন্স দম্পতি। অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেসারের ছেলের নাম আলবি। অভিজাত এই ম্যানশন ছাড়াও সিডনিতে কামিন্সের আরও দুটি বাড়ি রয়েছে।
পার্থে ২১ নভেম্বর শুরু হচ্ছে অ্যাশেজের প্রথম টেস্ট। কিন্তু পিঠের চোটে ভুগতে থাকা কামিন্স এই টেস্টে থাকছেন না। পার্থে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দেবেন স্টিভ স্মিথ। তবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তিনি ফিরবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম টেস্টের ভেন্যু অ্যাডিলেড, মেলবোর্ন ও সিডনি। যার মধ্যে মেলবোর্নে হবে বক্সিং ডে টেস্ট। সিডনিতে নতুন বছরে ৩ জানুয়ারি মাঠে গড়াবে পঞ্চম টেস্ট। আর এখন পর্যন্ত ৭১ টেস্টের ক্যারিয়ারে ৩০৯ উইকেট নিয়েছেন কামিন্স। ২০২৩ সালে ইংল্যান্ডে তাঁর নেতৃত্বেই অ্যাশেজ ড্র করেছিল অস্ট্রেলিয়া।


