
খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, ‘৭৫-এর ৭ নভেম্বর সৈনিক-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবে আমাদের মাতৃভূমি প্রভাবমুক্ত হয়ে স্বাধীন অস্তিত্ব লাভ করে এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত হয়। স্বদেশবাসীর জাগরিত দৈশিক চেতনায় পরাজিত হয় আধিপত্যকামী শক্তির অশুভ ইচ্ছা।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বেলা ১১টায় মহানগর বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের জরুরি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এড. মনা বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭নভেম্বর আধিপত্যবাদী শক্তির নীলনকশা প্রতিহত করে এদেশের বীর সৈনিক ও জনতা। সম্মিলিত প্রয়াসে জনগণ নতুন প্রত্যয়ে জেগে ওঠেছিলো।
মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন বলেন, বাংলাদেশের জনগণ এমন একটি রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখে, যেখানে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার হবে সহিষ্ণু, জনবান্ধব ও জবাবদিহিমূলক। শত-সহস্র শহীদের রক্তের বিনিময়ে, ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অর্জিত একবিংশ শতাব্দীর গণতান্ত্রিক বিপ্লব আমাদের সামনে একটি বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক ও আইনের শাসনের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সুযোগ তৈরি করেছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির আগামীর রাজনীতি সেই আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপ দিতে, মানুষের মর্যাদা ও অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও সাম্যের ভিত্তিতে একটি মানবিক রাষ্ট্র গঠনের প্রত্যয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের শহীদদের রক্তের ঋণকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরে এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের লাখো শহীদের স্বপ্নকে ধারণ করে একটি কার্যকর, শক্তিশালী ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে যাবো। সভায় থেকে ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে মহানগর বিএনপির গৃহিত দুইদিনের কর্মসুচি বৃদ্ধি করে ৭দিনের কর্মসুচি গ্রহন করা হয়েছে। কর্মসুচির মধ্যে রয়েছে- প্রথমদিন, ৬ নভেম্বর (শুক্রবার) সন্ধ্যায় নগরীর গুরুত্বপুর্ণ বিভিন্ন স্থানে মহানগর যুবদলের উদ্যোগে প্রামান্য চিত্র প্রদর্শিনী। দ্বিতীয়দিন- ৭ নভেম্বর (শনিবার) বিকাল তিনটায় মহানগর বিএনপির উদ্যোগে জিয়াহল চত্বরে (শিববাড়ি মোড়) জমায়েত ও বিকাল ৪টায় বর্নাঢ্য র্যালী শুরু হয়ে কেডিএ এভিনিউ হয়ে রয়্যাল চত্বরে গিয়ে শেষ হবে। তৃতীয়দিন- ৮ নভেম্বর (রবিবার) বিকাল সাড়ে ৩টায় মহানগর বিএনপির উদ্যোগে দিবসের তাৎপর্য় তুলে ধরে জনসভা শহীদ হাদিস পার্কে। ৪থর্ দিন-৯ নভেম্বর (সোমবার) মহানগর ওলামা দলের উদ্যোগে দুপুরে আবু হানিফ এতিমখানায় খাবার বিতরণ ও বিকাল ৪টায় মহানগর মহিলা দলের উদ্যোগে আলোচনা সভা বিএনপি কার্যালয়ে। ৫ম দিন- ১০ নভেম্বর (মঙ্গলবার) মহানগর কৃষকদলের উদ্যোগে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গাছের চারা বিতরণ। ৬ষ্ঠ দিন- ১১ নভেম্বর (বুধবার) জাসাসের আয়োজনে শহীদ হাদিস পার্কে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
৭ম দিন- ১৪ নভেম্বর (শুক্রবার) খালিশপুরে আঞ্চলিক শ্রমিকদলের উদ্যোগে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, সৈয়দা নার্গিস আলী, শেখ সাদী, মোঃ মাসুদ পারভেজ বাবু, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, হাফিজুর রহমান মনি, মুর্শিদ কামাল, ফরিদ আহমেদ মোল্লা, আসাদুজ্জামান আসাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমগীর হোসেন, আব্দুল আজিজ সুমন, মিজানুর রহমান মিলটন, আক্তারুজ্জামান তালুকদার সজীব, কাজী আবু নাঈম, একরামুল কবির মিল্টন, জাকির ইকবাল বাপ্পি, জামাল হোসেন তালুকদার, দ্বীন মুহাম্মদ, রবিউল ইসলাম রুবেল, রকিবুল ইসলাম মতি, এড. হালিমা আক্তার খানম, মোঃ শফিকুল ইসলাম শফি, কে এম জলিল, শেখ আদনান ইসলাম দ্বীপ, আলাউদ্দিন তালুকদার, গাজী আফসার উদ্দিন, মাসুদ-উল-হক হারুন, মোঃ কামরুজ্জামান রুনু, মোঃ সওগাতুল আলম ছগীর, আহসান হাবীব বাবু, শেখ মেহেদী হাসান লিটন, আবু শাহাদাৎ মোঃ সায়েম, ইয়াছিন আরাফাত রুমী, মোর্শেদুল ইসলাম সজীব, সৈয়দ ইমরান, আব্দুস সালাম, মাসুম বিল্লাহ, সৈয়দ তানভীর আহমেদ প্রমূখ।


